সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি খসরা প্রস্তুত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ একটি প্রস্তাবিত নিয়ম তৈরি করেছে যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কম্পিউটার চিপস এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর জন্য চীনে মার্কিন বিনিয়োগ সীমিত ও তা পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার জারি করা নতুন খসড়া নিয়মটি রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এর আগস্টের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী হয়েছে। খসরা নীতিমালা অনুযায়ী অতীতে উন্নত প্রযুক্তির তহবিল থেকে কিছু দেশগুলিকে অর্থ সহায়তা দেয়া হতো যা সেই দেশগুলির সামরিক, বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং সাইবার-খাতে উন্নতি ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কিন্তু বর্তমান এই আদেশে তহবিল থেকে সহায়তা দেয়া অনেকখানি সংকুচিত হয়ে পড়বে। নির্বাহী আদেশে চীন,ম্যাকাও এবং হংকংকে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের প্রযুক্তির বিকাশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, যেনো দেশটি সামরিক বা বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) এর মতো উদীয়মান সেক্টরগুলিতে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে। প্রস্তাবিত নিয়মের পাশাপাশি, বাইডেন, একজন ডেমোক্র্যাট, চীনা ইভিতে একটি কঠোর শুল্কও রেখেছেন। এর পিছনে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে কারণ বাইডেনএবং তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই ভোটারদের দেখানোর চেষ্টা করছেন যে কে কতো ভালোভাবে চীনের উত্থানকে ঠেকাতে পারবে।
প্রস্তাবিত নিয়মটি এই ধারণা দেয়, মার্কিন নাগরিক যদি এসব দেশে উল্লেখিত খাতে বিনিয়োগ করে তবে তা বিধিনিষেধের লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ট্রেজারি কর্মকর্তা বলেন,এটি বিশেষভাবে আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের চীনের AI সিস্টেমে অর্থায়ন দেয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবে যা অন্যান্য সামরিক অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে অস্ত্র লক্ষ্যবস্তু, যুদ্ধ এবং অবস্থান ট্র্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
মার্কিন ট্রেজারি ৪ আগস্টের মাধ্যমে প্রস্তাবটির বিষয়ে মন্তব্য চাইছে এবং এর পরে একটি চূড়ান্ত নিয়ম জারি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন সহ বাইডেন প্রশাসনের সদস্যরা জোর দিয়েছিলেন যে তাদের চীন থেকে “ডিকপলিং” করার কোনও আগ্রহ নেই – তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যন্তরে কয়েকটি চীনা বেলুন উড্ডয়ন করতে দেখা গেলে মার্কিন সেনাবহিনী তা গুলি করে ভূপাতিত করে। এতে চীনা সরকার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। এই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীনা প্রযুক্তির কোম্পানি গুলি মার্কিন প্রযুক্তি খাত ব্যবহার করে ড্রোন,নজরদারি বেলুন তৈরী করছে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন