বিশ্বের বৃহত্তম নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রকল্প- আন্তর্জাতিক থার্মোনিউক্লিয়ার পরীক্ষামূলক রিয়্যাক্টর (ITER) প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এবং ইতার সংস্থার মহাপরিচালক পিয়েত্রো বারাবাসি। পিয়েত্রো সম্প্রতি রাশিয়া সফর করেন। আলোচনায় ফিউশন রিয়্যাক্টরটির বিভিন্ন অংশ নির্মান ও ক্রয়ে রাশিয়ার প্রতিশ্রুতির বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়।
লিখাচেভ জানান, “নিউক্লিয়ার ফিউশন গবেষণার ক্ষেত্রে রাশিয়া অগ্রপথিক। টোকামাকের আবিষ্কারক এবং ইতার প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা। ইতার প্রধানের সাথে আমার বৈঠকে বৈশ্বিক থার্মোনিউক্লিয়ার গবেষণায় রাশিয়ার অনস্বীকার্য ভূমিকার বিষয়টি গুরুত্ব পায়”।
পিয়েত্রো তার মন্তব্যে বলেন, “আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি অনন্য নিদর্শন হলো ইতার প্রকল্প। এই প্রকল্পে একটি অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন জাতি একত্রিত হয়েছে। অন্যান্য ইতার সদস্যদের মতো এই প্রকল্পে রাশিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতার প্রকল্পে সকলের স্বার্থে ফিউশন এনার্জীর উন্নতিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে”।
রাশিয়া সফরকালে ইতার মহাপরিচালক, ইতার প্রকল্প কেন্দ্রের ত্রয়িতস্ক ল্যাবরেটরি কমপ্লেক্স, এফ্রেমভ রিসার্চ ইন্সটিটিউট অফ ইলেকট্রো-ফিজিক্যাল ইকুইপমেন্ট এবং রুশ বিজ্ঞান একাডেমীর এ.এফ লফি ফিজিক্যাল এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেন।
বর্তমানে ফ্রান্সে বিশ্বের বৃহত্তম এই আন্তর্জাতিক থার্মোনিউক্লিয়ার গবেষণা রিয়্যাক্টরটির নির্মান কাজ এগিয়ে চলছে। বিশ্বের ৩৫টি দেশ এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত। প্রকল্পটির অন্যতম লক্ষ্য হলো শিল্প ক্ষেত্রে থার্মোনিউক্লিয়ার এনার্জী ব্যবহারের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা তুলে ধরা। রসাটমের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান ‘প্রজেক্ট সেন্টার ইতার’ প্রকল্পটির জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। রাশিয়ার মূল দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে- প্রকল্পটির জন্য ২৫টি সিস্টেম নির্মান ও সরবরাহ।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন