সম্পত্তির মোট মূল্য ১৫ হাজার কোটি রুপি শত্রু সম্পত্তি আইনে হুমকির মুখে সাইফের ভোপালের সম্পত্তি – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

সম্পত্তির মোট মূল্য ১৫ হাজার কোটি রুপি শত্রু সম্পত্তি আইনে হুমকির মুখে সাইফের ভোপালের সম্পত্তি

  • ০৮/০৭/২০২৫

পতৌদির নবাব পরিবারের সন্তান সাইফ আলী খান। অন্যদিকে তার দাদি ছিলেন ভোপালের বেগম। তাই ভোপালের সম্পদেরও উত্তরাধিকারী সাইফ। কিন্তু সম্প্রতি একটি সংকট তৈরি হয়েছে। সরকারি নীতিমালা অনুসারে, ভোপালের এ সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে মধ্য প্রদেশের উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন সাইফ আলী খান। কিন্তু সে আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন মধ্য প্রদেশের উচ্চ আদালত। মূলত আদালত ২৫ বছরের পুরনো একটি মামলার রায়ই বজায় রেখেছেন।
পাতৌদির শেষ নবাব ছিলেন মনসুর আলী খান। তার মৃত্যুর পর ভোপালে তার ও নবাবির সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়েছেন সাইফ আলী খান, তার মা শর্মিলা ঠাকুর ও সাইফের দুই বোন সাবা ও সোহা আলী খান। এ সম্পদের তালিকায় আছে ফ্ল্যাগস্ট্যাফ হাউজ, নূর-উস-সাবা প্যালেস, দারুস সালাম, বাংলো অব হাবিবি, আহমেদাবাদ প্যালেস ও কোহেফিজা প্রপার্টি। সাইফরা তাদের ভোপালের সম্পত্তি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই মামলা লড়ছিলেন। মামলায় তাদের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতের শত্রু সম্পত্তির নির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। সে সংজ্ঞা অনুসারে, ভারত ভাগ, ১৬৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের সময় যারা শরণার্থী হয়ে পাকিস্তান বা চীনে গিয়েছিল, তাদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তিই শত্রু সম্পত্তি (বাংলাদেশেও দেশত্যাগ করে যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি বলা হয়)। ১৯৬৮ সালে ভারতে এ আইন তৈরি হয়। আইনে বলা হয়েছে, যারা ভারত ত্যাগ করেছেন তাদের সম্পত্তিকে ‘এনিমি প্রপার্টি’ বলা হবে। ওই সম্পদে তাদের উত্তরাধিকারীদেরও অধিকার থাকবে না। ‘কাস্টোডিয়ান অব এনিমি প্রপার্টি ফর ইন্ডিয়া’ ওই নির্দিষ্ট সব সম্পত্তির তদারককারী ও সম্পদের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার অধিকারী হবে বলে আইন করা হয়। ২০১৭ সালের সংশোধনী অনুসারে, শত্রু সম্পত্তিতে ওই পুরনো সম্পত্তির মালিকের ভারতের নাগরিক উত্তরাধিকারীদেরও কোনো অধিকার থাকবে না বলে আইন করা হয়।
সাইফ ভোপালের সম্পত্তি পেয়েছিলেন তার দাদি সাজেদা বেগমের উত্তাধিকারী হিসেবে। সাজেদার বাবা হামিদউদ্দিন খান ছিলেন ভোপালের শেষ নবাব। তার মূল উত্তরাধিকারী ছিলেন বড় মেয়ে আবিদা বেগম। তিনি ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। তার পরই সাজেদা বেগম এ সম্পদের উত্তরাধিকারী হন। তার বিয়ে হয় পতৌদির নবাব ইফতেখার আলী খানের সঙ্গে। সে সূত্রে এক সময় সাইফের কাছে আসে ভোপালের সম্পত্তি। কিন্তু যেহেতু আবিদা বেগম পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন সেই কারণে তার সম্পত্তি মূলত শত্রু সম্পত্তি।
২৫ বছর আগে ভোপালের সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি আখ্যা দিয়ে সাইফদের বিরুদ্ধে মামলা করেন হামিদউল্লাহ খানের ভাই ওবায়েদউল্লাহ খান ও হামিদউল্লাহর তৃতীয় কন্যা রাবেয়া বেগম। তারা ইসলামি শরিয়ত অনুসারে, নবাবের সম্পত্তির ভাগ দাবি করেন। ১৯৯৯ সালে এ মামলা শুরু হয় এবং তারা মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের জবলপুর বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সাইফরা যে সম্পদ হারাচ্ছেন বিষয়টা এমন নয়। তবে মামলায় জেতা তাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। হাইকোর্ট সাইফ আলী খানের আপিল আবেদন খারিজ করলেও এ বিষয়ে পুনরায় একটি তদন্ত করা ও এক বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করার বিষয় আদেশ করেছেন।
সূত্র: ইয়ন ও দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us