প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, এ শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও কর্মসংস্থানকে সুরক্ষা দেবে। একই সঙ্গে মার্কিন পণ্যের উৎপাদন বাড়াবে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, লাওস ও মিয়ানমারের পণ্যেও নতুন শুল্ক হার কার্যকর হচ্ছে আগামী ১ আগস্ট থেকে। খবর বিবিসি।
সোমবার (৭ জুলাই) ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এসব দেশের নেতাদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি প্রকাশ করে নতুন শুল্কের ঘোষণা দেন। চিঠিতে তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন— কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করলে তারা যে পরিমাণ বাড়াবে, সেটি ২৫ শতাংশের সঙ্গে যোগ করে আরো বাড়তি শুল্ক বসানো হবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংকে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, আপনারা যদি নিজেদের শুল্ক বাড়ান, তবে আপনারা যত শতাংশ বাড়াবেন, সেটাই আমাদের ২৫ শতাংশের সঙ্গে যোগ হবে।
কোন দেশ থেকে কোন পণ্যে কত শুল্ক?
ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ২৫ শতাংশ, কাজাখস্তান ২৫ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০ শতাংশ, লাওস ও মিয়ানমারের পণ্যে ৪০ শতাংশ শুল্ক নেবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া গাড়ির ক্ষেত্রে আলাদা করে ২৫ শতাংশ এবং স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০ শতাংশ শুল্ক যোগ হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, এ শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও কর্মসংস্থানকে সুরক্ষা দেবে। একই সঙ্গে মার্কিন পণ্যের উৎপাদন বাড়াবে। তবে নতুন এই শুল্ক ঘোষণার পর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে মন্দাভাব দেখা গেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব শুল্ক বাণিজ্য আলোচনাকে জটিল করে তুলছে। বিশেষ করে গাড়ির ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘আসছে কয়েক দিন খুব ব্যস্ত যাবে। অনেক দেশ আলোচনার জন্য নতুন প্রস্তাব পাঠাচ্ছে।’ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম ও চীনের সঙ্গে আংশিক বাণিজ্য চুক্তি করেছে। তবে এসব চুক্তির পরেও আগের তুলনায় শুল্কের হার বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চললেও ইস্পাত ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক এখনো বড় বাধা হয়ে আছে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, বুধবারের মধ্যে চুক্তিতে না এলে জাপানের পণ্যের ওপর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। বিশ্বব্যাপী চাপ সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা এই কঠোর শুল্কনীতি থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনা করছে না।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন