পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে বৈদেশিক মুদ্রার সন্ধানে বিলাসবহুল রিসোর্ট খুলেছেন কিম জং উন – The Finance BD
 ঢাকা     রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে বৈদেশিক মুদ্রার সন্ধানে বিলাসবহুল রিসোর্ট খুলেছেন কিম জং উন

  • ০১/০৭/২০২৫

উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের ওনসানে নির্মিত হয়েছে ‘ওনসান কালমা’ নামের বিলাসবহুল রিসোর্ট। চলতি সপ্তাহেই এটি উদ্বোধন করেছেন কিম। প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতজুড়ে নির্মিত রিসোর্টটি একসাথে ২০,০০০ পর্যটক ধারণে সক্ষম। রিসোর্টজুড়ে রয়েছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল ও ওয়াটার পার্ক। পশ্চিমা বিশ্বের কঠোর নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে বর্হিবিশ্ব থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন কিম জং ইন। তবে এই নিষেধাজ্ঞা আর বিচ্ছিন্নতার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে পড়েছে পিয়ংইয়ং। সংকট সমাধানে পর্যটন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের পথে হাঁটছেন কিম।
দেশটির পূর্ব উপকূলের ওনসানে নির্মিত হয়েছে ‘ওনসান কালমা’ নামের বিলাসবহুল রিসোর্ট। চলতি সপ্তাহেই এটি উদ্বোধন করেছেন কিম। রিসোর্টটি আগামী ১ জুলাই থেকে সীমিত আকারে দেশীয় পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে। বিদেশিদের প্রবেশ কবে থেকে অনুমোদিত হবে, তা স্পষ্ট নয়। ছয় বছর আগে প্রকল্পটি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় এতদিন তা পিছিয়ে যায়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতজুড়ে নির্মিত রিসোর্টটি এক সঙ্গে ২০ হাজার পর্যটক ধারণে সক্ষম। রিসোর্টজুড়ে রয়েছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল ও ওয়াটার পার্ক।
ওনসান অঞ্চল কিমের ব্যক্তিগত স্মৃতির স্থানও বটে। শৈশবের একটি বড় অংশ তিনি কাটিয়েছেন এই শহরে। একসময় এখান থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হতো। পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা উত্তর কোরিয়া বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। দেশটির অধিকাংশ সম্পদ ব্যয় হয় সামরিক বাহিনী, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্থাপত্য নির্মাণে—যেগুলো মূলত রাজধানী পিয়ংইয়ং ও কিম পরিবারের ব্যক্তিপূজা কেন্দ্রীক। পর্যবেক্ষকদের মতে, পর্যটন খুলে দিয়ে সহজ উপায়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ খুঁজছে পিয়ংইয়ং। দেশটিতে বিদেশি পর্যটক ঢুকতে পারলেও বেশিরভাগই আসেন চীন ও রাশিয়া থেকে। দুই দেশের সঙ্গেই উত্তর কোরিয়ার পুরোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ রিসোর্ট চালু কেবল অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নয়—এটি এক কৌশলগত বার্তাও। পর্যটনের আড়ালে রাশিয়ার মতো মিত্রদের কাছে নতুন করে ঘনিষ্ঠতার হাত বাড়ানোর চেষ্টা করছে পিয়ংইয়ং। রাশিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক মিত্রতার প্রেক্ষাপটে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে পাঁচ বছর পর সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন যোগাযোগও পুনরায় চালু হয়েছে। পর্যটন খাতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রিসোর্ট পশ্চিমা পর্যটকদের জন্য খুব একটা বড় আকর্ষণ হয়ে উঠবে না। তাদের মতে, বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে পিয়ংইয়ং, কেসং, ডিমিলিটারাইজড জোন ও অন্যান্য কমিউনিস্ট স্থাপত্যমূলক নিদর্শনই বেশি আকর্ষণীয়। তবুও, কিছু পর্যটন সংস্থার মতে, উত্তর কোরিয়ার মতো ব্যতিক্রমী দেশের ‘আলাদা মাত্রার সৈকত অভিজ্ঞতা’ কৌতূহলী পর্যটকদের টানতে পারে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us