ইয়েমেনি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন চুরি ও পাচারের বিষয়ে পর্যবেক্ষণকারী আবদুল্লাহ মোহসেন জানিয়েছে, চারটি বিরল ইয়েমেনি শিল্পকর্ম আগামী ৯ জুলাই নিলামে তুলবে ফ্রান্সের ব্ল্যাকাস অকশন হাউজ। যেখানে রয়েছে বিখ্যাত বায়হান যুগলের মূর্তি, স্বর্ণের কানের দুল পরা নারীর ভাস্কর্য ও একটি সমাধিফলক। নিলামঘরের দাবি অনুযায়ী, এসব নিদর্শন আশির দশকে একজন ইউরোপীয় পুরাকীর্তি সংগ্রাহকের সংগ্রহে ছিল এবং বর্তমানে তার উত্তরাধিকারীরা নিলামে তুলেছেন। গবেষক আবদুল্লাহ মোহসেন বলেন, ‘বায়হানের মূর্তিটি ইয়েমেনের ওয়াদি বায়হান থেকে পাওয়া আরেকটি মূর্তির যমজ এবং এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। ধারণা করা হয়, এটি ওয়েন্ডেল ও মেরিলিন ফিলিপসের সংগ্রহে ছিল, যা পরবর্তী সময়ে স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব এশিয়ান আর্টে দান করে আমেরিকান অ্যানথ্রোপলজিক্যাল ফাউন্ডেশন। যেখানে নারীর মাথার ভাস্কর্যটি স্বচ্ছ অ্যালাবাস্টার পাথরে খোদিত, জ্যামিতিক গড়ন এবং হালকা ক্রিম রঙের ওপর বাদামি ও মধুরঙা ছায়া দেখা যায়।’ দ্বিতীয় নিদর্শন হিসেবে মোহসেন উল্লেখ করেন একটি নারীর মূর্তি, এতে প্রাচীন ইয়েমেনি স্বর্ণের দুলসহ অন্যান্য অলংকরণ এখনো অটুট আছে। মার্বেল পাথরের তৈরি ভাস্কর্যটি খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর। তৃতীয় নিদর্শনটি একটি চুনাপাথরের স্মারক ফলক, যার দৈর্ঘ্য ৩৭ সেন্টিমিটার ও প্রস্থ ২৭ সেন্টিমিটার। এতে ইয়েমেনি শিল্পরীতির ছাপ রয়েছে, যা মৃত ব্যক্তির বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে। আমেরিকান ফাউন্ডেশন ফর দ্য স্টাডি অব অ্যানথ্রোপলজি কীভাবে ইয়েমেনি নিদর্শনগুলো পেয়েছে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আহ্বান জানিয়েছেন গবেষক আবদুল্লাহ মোহসেন। তিনি অভিযোগ তোলেন, বিশেষত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) নেতৃত্বাধীন জোটের অনুগত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ইয়েমেনি পুরাকীর্তি দিন দিন পাচার ও চুরি হয়ে বিদেশে যাচ্ছে। এসব শিল্পকর্ম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিলামে বিক্রি হচ্ছে, অথচ জোট সমর্থিত সরকার এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। খবর ও ছবি এবিএনএ
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন