ট্রাম্প বলেন, নিষেধাজ্ঞায় আমাদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু আমি ইরানের মতো দেশগুলোর জন্য এগুলো শিথিল করতে প্রস্তুত, যদি তারা ভালো আচরণ করে। তারা তেল বিক্রি করতে পারবে এবং চাইলে অন্য কাজও করতে পারবে।
ইরান শত্রুতা ভুলে শান্তিপূর্ণ আচরণ ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমন্বয় করলে দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ জুন) ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। খবর আনাদোলুর। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তারা (ইরান) যদি শান্তিপূর্ণ আচরণ করে, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয় ও আমাদের ক্ষতি না করে, তাহলে আমি তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব।
তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞায় আমাদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু আমি ইরানের মতো দেশগুলোর জন্য এগুলো শিথিল করতে প্রস্তুত, যদি তারা ভালো আচরণ করে। তারা তেল বিক্রি করতে পারবে এবং চাইলে অন্য কাজও করতে পারবে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার আগে তারা সব ইউরোনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে বলে যে দাবি উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। তার মতে, এই ধরনের উপাদান অত্যন্ত ভারী এবং পরিবহনের জন্য জটিল লজিস্টিক ব্যবস্থা প্রয়োজন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র হামলার আগে খুব কম সময়ের নোটিস দিয়েছিল। যা এই সময়ের মধ্যে ইউরেনিয়াম সরানোর বিষয়টিকে ‘কঠিন’ এবং ‘বিপজ্জনক’ করে তুলেছিল। ফলে তারা কিছুই সরায়নি। তারা ভাবেওনি আমরা যা করেছি, সেটা করা সম্ভব। এ সময় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের আব্রাহাম চুক্তির প্রসঙ্গও তোলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইরানের হুমকি আগে এই অঞ্চলে শান্তির প্রধান বাধা ছিল। ইরানই ছিল মূল সমস্যা। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করেছিলাম একটা সময় আসবে যখন ইরানও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে। সত্যি বলতে, সেটা তাদের জন্য বর্তমান অবস্থার চেয়ে ভালো হতো। সম্প্রতি প্রতিকূলতার পর নতুন কিছু দেশ এই চুক্তিতে যোগ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন