এই চুক্তিকে কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স তিসেকেদির বড় কূটনৈতিক সাফল্য বলা হচ্ছে।
চুক্তির আওতায় কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণ, সরে দাঁড়ানো এবং শর্তসাপেক্ষে পুনরায় সংহত করার কথা বলা হয়েছে। এখনো চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ হয়নি এবং অতীতেও এমন বেশ কিছু চুক্তি ব্যর্থ হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্ট নেতারা এটিকে ‘নতুন যুগের সূচনা’ হিসেবেই দেখছেন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে শান্তিচুক্তি সই করেছে রুয়ান্ডা ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো)। ওয়াশিংটনে সম্পন্ন হওয়া এই চুক্তিকে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। খবর বিবিসি।
চুক্তির আওতায় কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণ, সরে দাঁড়ানো এবং শর্তসাপেক্ষে পুনরায় সংহত করার কথা বলা হয়েছে। এখনো চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ হয়নি এবং অতীতেও এমন বেশ কিছু চুক্তি ব্যর্থ হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্ট নেতারা এটিকে ‘নতুন যুগের সূচনা’ হিসেবেই দেখছেন।
শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রুয়ান্ডা ও ডিআর কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ওভাল অফিসে ট্রাম্প নিজেও এতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
এই চুক্তিকে কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স তিসেকেদির বড় কূটনৈতিক সাফল্য বলা হচ্ছে। জানা গেছে, দুই দেশের রাষ্ট্রপতির একসঙ্গে ওয়াশিংটনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে এম২৩ বিদ্রোহীদের হাতে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা—বুকাভু, গোমা শহর ও দুটি বিমানবন্দর চলে গেলে সংঘাত নতুন মাত্রা পায়। হাজার হাজার মানুষ নিহত হন এবং লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
সংঘাতের পর কঙ্গো সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা চায় এবং বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে মার্কিন প্রবেশাধিকার দিতে সম্মত হয়। কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল কলটানসহ এমন বহু খনিজে ভরপুর, যা বৈশ্বিক প্রযুক্তি শিল্পে অপরিহার্য। রুয়ান্ডা এম২৩ বিদ্রোহীদের সমর্থনের অভিযোগ অস্বীকার এবং তাদের সেনা উপস্থিতিকে ‘আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে, তারা কঙ্গো সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালের গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হুতু বিদ্রোহী গোষ্ঠী এফডিএলআরকে সহায়তার অভিযোগ এনেছে। চুক্তিতে রুয়ান্ডার সেনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলা হয়নি। তবে কঙ্গো জানিয়েছে, এতে ‘সরে দাঁড়ানো’র কথা রয়েছে—যা ‘প্রত্যাহার’-এর চেয়ে বিস্তৃত ধারণা বহন করে। এম২৩ বিদ্রোহীরা দখলকৃত এলাকা ছাড়বে কি না তা এখনো অজানা। রুয়ান্ডার সেনারা আদৌ পুরোপুরি ফিরবে কি না, শরণার্থীরা কবে ফিরতে পারবে এবং কারা বিদ্রোহীদের নিরস্ত্রীকরণ করবে— সে সম্পর্কেও বলা হয়নি। ফলে চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন