এশিয়া-প্যাসিফিকে আইওটি প্রযুক্তি খাতে ব্যয় পৌঁছবে ৩৫৫ বিলিয়ন ডলারে – The Finance BD
 ঢাকা     শুক্রবার, ২৭ Jun ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

এশিয়া-প্যাসিফিকে আইওটি প্রযুক্তি খাতে ব্যয় পৌঁছবে ৩৫৫ বিলিয়ন ডলারে

  • ২৪/০৬/২০২৫

২০২৯ সাল নাগাদ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে (জাপান ব্যতীত) ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) প্রযুক্তি খাতে ব্যয় দাঁড়াবে ৩৫৫ বিলিয়ন বা ৩৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা আইডিসির ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড সেমি-অ্যানুয়াল ইন্টারনেট অব থিংস স্পেন্ডিং গাইড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে এ খাতে ব্যয় হবে ২৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ২০২৫-২৯ সাল পর্যন্ত সময়ে সমন্বিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার (সিএজিআর) হবে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ।
আইডিসির হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়েছে, আইওটি প্রযুক্তি এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ ব্যবস্থা ও খুচরা বিক্রির খাতে। শিল্প-কারখানাগুলোয় অটোমেশন, কার্যকারিতা ও রিয়েল টাইম (তৎক্ষণাৎ) ডাটা বিশ্লেষণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এসব খাতে আইওটির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে।
২০২৫ সালে আইওটি প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হবে উৎপাদন, সরকারি সেবা, খুচরা বিক্রি ও ইউটিলিটি খাত থেকে। এ চার খাত মিলিয়ে মোট ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি হিস্যা হবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আইডিসি। এর মধ্যে উৎপাদন খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করবে শিল্প উৎপাদন ও ভোগ্যপণ্য খাত। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবহন খাতে আইওটি ব্যয়ের হার দ্রুত বাড়বে।
আইওটি প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বেশি খরচ হবে যেসব খাতে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভিডিও বিশ্লেষণ, উৎপাদন কার্যক্রম, মালামালের স্বয়ংক্রিয় হিসাবনিকাশ, সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও উৎপাদন যন্ত্রপাতি ব্যবস্থাপনা। এছাড়া জননিরাপত্তা, জরুরি সেবা ও গ্যাস বা পানির লিক শনাক্তকরণে আইওটির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। এসব ক্ষেত্রে রিয়াল টাইম তথ্য ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে বলেই খরচও বাড়ছে।
প্রযুক্তি খাতে ২০২৫ সালে আইওটি খরচের বড় অংশ যাবে হার্ডওয়্যারে, যার মধ্যে সেন্সর ও মডিউল কেনার ব্যয়ই বেশি। এ খাতে মোট খরচের ৬০ শতাংশের বেশি হবে শুধু হার্ডওয়্যারেই। তবে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে সবচেয়ে দ্রুত খরচ বাড়বে পরিষেবা খাতে। এর মধ্যে বিশেষ করে টেলিকম সেবা ও সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস (এসএএএস) খাতে খরচ বাড়বে দ্রুতগতিতে। এ প্রসঙ্গে আইডিসির বাজার বিশ্লেষক শরদ কোটাগি বলেন, ‘এ অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ব্যবসার দক্ষতা বাড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অ্যানালিটিকস ও নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগে গুরুত্ব দিচ্ছে। শক্তিশালী আইওটি প্রযুক্তি তাদের ডিজিটাল রূপান্তরকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে।’
২০২৫ সালে আইওটি প্রযুক্তিতে খরচের দিক থেকে চীন থাকবে শীর্ষে, যার হিস্যা হবে মোট ব্যয়ের ৬০ শতাংশের বেশি। এরপর রয়েছে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় আইওটি খাতে ব্যয় সবচেয়ে দ্রুত বাড়বে। আইডিসির হালনাগাদ স্পেন্ডিং গাইডে ৫৩টি দেশের ২৭টি শিল্প খাতের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে ২১টি প্রযুক্তি বিভাগ ও ১৪০টি নির্দিষ্ট ব্যবহার ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশেষভাবে উৎপাদন শিল্পে আইওটি ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে অটোমোটিভ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, ভোগ্যপণ্য, হাই-টেক, ইলেকট্রনিকস ও অ্যারোস্পেস খাত।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us