২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষ অনুকূল আবহাওয়ায় রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদন ভারতে – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ Jun ২০২৫, ০৯:৪০ অপরাহ্ন

২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষ অনুকূল আবহাওয়ায় রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদন ভারতে

  • ২৩/০৬/২০২৫

অনুকূল আবহাওয়ার প্রভাবে ভারত ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের (এফএএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে দেশটির মোট শস্য উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টনে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টন বেশি। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম।
ধান, গম ও ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে এফএএস। এমনকি ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষেও এ ধারা বজায় থাকতে পারে। এ সময় গম উৎপাদন রেকর্ড ১১ কোটি ৭৫ লাখ টনে পৌঁছতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা আগের বছরের ১১ কোটি ৩৩ লাখ টনের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো বপন, অনুকূল আবহাওয়া ও রোগ-পোকার আক্রমণ কম হওয়া উৎপাদন বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। আগামী মৌসুমেও ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কারণ ২০২৫ সালের বর্ষা মৌসুম নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হয়েছে। এছাড়া ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আশাব্যঞ্জক পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষে খাদ্যশস্যটির উৎপাদন হতে পারে ১৫ কোটি টন, যা আগের বছরের ১৪ কোটি ৯০ লাখ টনের তুলনায় কিছুটা বেশি। একই সঙ্গে রফতানি ২ কোটি ৪৫ লাখ টন থেকে বেড়ে পৌঁছতে পারে ২ কোটি ৫০ লাখ টনে।
তবে ভুট্টা উৎপাদনে কিছুটা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এফএএস। ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষে উৎপাদন হতে পারে ৪ কোটি ২০ লাখ টন, যা আগের মৌসুমের ৪ কোটি ২৬ লাখ টনের তুলনায় কিছুটা কম।
এদিকে, রেকর্ড উৎপাদন সত্ত্বেও বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত ভারত সরকার। এ কারণে ২৭ মে থেকে গমের মজুদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যা ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। নতুন বিধি অনুযায়ী, পাইকারি ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ তিন হাজার টন, খুচরা বিক্রেতারা প্রতি দোকানে ১০ টন ও প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্থাপন ক্ষমতার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মজুদ রাখতে পারবে। এছাড়া গম ও গমজাত পণ্যের রফতানি নিষেধাজ্ঞা আগামী বিপণন বর্ষেও বহাল থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ভারতীয় গমের দাম এখনো আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে উৎপাদন বাড়লেও সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দাম স্থিতিশীল রাখা। তাই নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে এ সাফল্যের সুফল সাধারণ মানুষের ঘরে কতটা পৌঁছবে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us