ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইসরায়েলের আকাশসীমা এড়িয়ে চলেছে অধিকাংশ উড়োজাহাজ সংস্থা। তারা এখন উত্তর দিকে কাস্পিয়ান সাগর হয়ে বা দক্ষিণ দিকে মিশর ও সৌদি আরব হয়ে রুট নিচ্ছে। যদিও এতে জ্বালানি খরচ, কর্মী ব্যয় ও ফ্লাইট সময় তিনই বেড়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তীর্ণ আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ চলাচল। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে নতুন আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় গত সপ্তাহ থেকেই বিমানগুলো বিকল্প রুট ব্যবহার করছে। খবর রয়টার্স।
ফ্লাইটরাডার২৪ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় জানিয়েছে, মার্কিন হামলার পর নতুন আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে উড়োজাহাজ চলাচল গত সপ্তাহের মতোই চলছে।
ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইসরায়েলের আকাশসীমা এড়িয়ে চলেছে অধিকাংশ উড়োজাহাজ সংস্থা। তারা এখন উত্তর দিকে কাস্পিয়ান সাগর হয়ে বা দক্ষিণ দিকে মিশর ও সৌদি আরব হয়ে রুট নিচ্ছে। যদিও এতে জ্বালানি খরচ, কর্মী ব্যয় ও ফ্লাইট সময় তিনই বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার হুমকি বাণিজ্যিক উড়োজাহাজগুলোর জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে উঠেছে।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন বিমান সংস্থা ইরান, ইরাক ও ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তবে কিছু উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে আশেপাশের দেশ থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে অনেকে। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, জাপানের ১৬ নাগরিকসহ ২১ জনকে এরইমধ্যে ইরান থেকে স্থলপথে আজারবাইজানে সরিয়ে নিয়েছে। বৃহস্পতিবারের পর এটি দ্বিতীয় দফা উদ্ধার অভিযান। প্রয়োজনে আরো উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছে জাপান। নিউজিল্যান্ড সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের নাগরিকদের উদ্ধারে একটি হারকিউলিস উড়োজাহাজ পাঠাবে। অকল্যান্ড থেকে সোমবার সি-১৩০জে হারকিউলিস উড়োজাহাজটি রওনা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে পৌঁছাতে কয়েক দিন সময় লাগবে। সরকার আরো জানায়, তারা বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে, যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা সহযোগিতা করতে পারে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন