দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত শস্যের উচ্চ মূল্য শুল্কের ভার স্বত্বেও বিদেশি পণ্যকে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলায় জাপানের বিভিন্ন কোম্পানি চাল আমদানি বাড়িয়ে নিচ্ছে। জাপান সরকার “ন্যূনতম প্রবেশ” নামের একটি ব্যবস্থার অধীনে প্রতি বছর প্রায় ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টন শুল্কমুক্ত চাল আমদানি করে। তবে, বেসরকারি খাতের সরাসরি আমদানির বেলায় প্রতি কেজিতে ৩৪১ ইয়েন বা দুই ডলারের বেশি শুল্ক দিতে হয়। তা সত্ত্বেও এপ্রিল মাসে বাণিজ্যিক কোম্পানির আমদানি বেড়ে ৬,৮০০ টনে পৌঁছায়, যা হচ্ছে ২০২৪ অর্থবছরের পুরো সময়ের দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছর আমদানি ছিল ২৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এপ্রিল মাসের পরিসংখ্যানের প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল মার্কিন চাল। জাপানের দোকানে রাখা ক্যালিফোর্নিয়ার ৫ কেজি ওজনের চালের একটি ব্যাগ প্রায় ৩,৫০০ ইয়েন বা ২৪ ডলারে বিক্রি হয়। সেই তুলনায় ৮ জুন পর্যন্ত সপ্তাহে দেশীয় চালের গড় খুচরা মূল্য ছিল প্রায় ৪,১০০ ইয়েন বা ২৯ ডলার। সরকার মজুদকৃত চাল বিক্রি করে মূল্য হ্রাসের চেষ্টা করার পরেও এই মূল্য হচ্ছে আমদানি করা চালের চাইতে বেশি। মিৎসুবিশি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ধান নীতি বিশ্লেষক বলছেন জাপানে ২০২৫ সালের ফসল জনগণের চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে সরকারি চালের মজুদ পুনরায় পূরণ করার জন্য যথেষ্ট হবে না। তিনি বলছেন মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য ২০২৬ সালের ফলনের সময় ধানের চাষ বৃদ্ধি করে নিতে সরকারের উচিত হবে কৃষকদের উৎসাহিত করা। (Source: NHK WORLD JAPAN)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন