টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা বিক্রির জন্য আরো ৯০ দিনের সময় দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ানো হবে। ফলে ১৯ জুনের পরিবর্তে এখন সময় থাকবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুযায়ী গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ এ ঘোষণা দেয়। খবর রয়টার্স। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর পরই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করতে বলা হয় টিকটককে। যদি কোম্পানিটি তা করতে না পারে, তাহলে অ্যাপটি বন্ধ করে দিতে হবে বলে আইনে উল্লেখ রয়েছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান না টিকটক বন্ধ হয়ে যাক। তিনি চলতি সপ্তাহে নতুন একটি অতিরিক্ত নির্বাহী আদেশে সই করবেন, যাতে টিকটক চালু থাকে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগামী তিন মাস আমরা নিশ্চিত হব, যেন বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ হয় এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রেখে ১৭ কোটি মার্কিন নাগরিক টিকটক নিরাপদে ব্যবহার করতে পারে।’
ট্রাম্প এর আগেও বলেছিলেন, টিকটক তরুণ ভোটারদের কাছে তার জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়তা করেছে। সে কারণেও তিনি সময়সীমা বাড়াতে চান। এয়ার ফোর্স ওয়ানে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘সম্ভবত সময় বাড়াতে হবে। চীনের অনুমতি লাগবে, তবে আমি মনে করি আমরা তা পেয়ে যাব।’
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির অভিযোগ ওঠে চীনা প্লাটফর্মটির বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে টিকটক বিক্রি ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত একটি আইনে স্বাক্ষর করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইন অনুযায়ী, টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রি না করা হলে প্লাটফর্মটি বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। যদিও ট্রাম্প আইনটি বাস্তবায়ন করেননি। এরপর এপ্রিল ও জুনে সময়সীমা বাড়ানো হয়। চলতি বছরের শুরুতে টিকটক বিক্রির একটি পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল। যেন টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম নতুন একটি কোম্পানির অধীনে পরিচালিত হয়। কিন্তু ট্রাম্প চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে চীন সে চুক্তি অনুমোদনে রাজি হয়নি। গত মার্চে ট্রাম্প জানান, তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কমাতে ইচ্ছুক, তবে বাইটড্যান্সকে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম হস্তান্তর করতে হবে। এদিকে ডেমোক্রেটিক সিনেটররা বলছেন, ট্রাম্পের এ সময়সীমা বাড়ানোর কোনো আইনি অধিকার নেই।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন