আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল ‘চীন-মধ্য এশিয়া চেতনা’ – The Finance BD
 ঢাকা     শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০৫ অপরাহ্ন

আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল ‘চীন-মধ্য এশিয়া চেতনা’

  • ১৯/০৬/২০২৫

গতকাল (মঙ্গলবার) কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে ধারাবাহিক সহযোগিতার বিষয়ে মতৈক্য অর্জিত হয়েছে। এই শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর বক্তৃতায় প্রথমবারের মতো ‘চীন-মধ্য এশিয়া চেতনার’ ধারণা তুলে ধরেন। মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশের নেতারা চীনকে এই অঞ্চলের এক চিরস্থায়ী, নির্ভরযোগ্য কৌশলগত অংশীদার ও সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে প্রশংসা করেন।
এ বছর চীন-মধ্য এশিয়া ব্যবস্থাটি প্রতিষ্ঠার পঞ্চম বার্ষিকী। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীন ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার অভিজ্ঞতাকে ‘চীন-মধ্য এশিয়া চেতনা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, যার মূল ভিত্তি হলো: “পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক বিশ্বাস, পারস্পরিক সুবিধা, পারস্পরিক সহায়তা এবং উচ্চমানের উন্নয়নের মাধ্যমে অভিন্ন আধুনিকায়নের প্রচার”। এটি কেবল গভীর ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকেই প্রতিফলিত করে না, বরং সময়ের চাহিদার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই চেতনাটি শীর্ষ সম্মেলনের ‘আস্তানা ঘোষণা’য় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, পাঁচটি মধ্য এশীয় দেশই এটিকে সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃতি ও সমর্থন দিয়েছে।
বিশ্বের আরও বেশি “চীন-মধ্য এশিয়ার অবদান” প্রয়োজন। এবারের সম্মেলনে, চীন আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা, আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা এবং সক্রিয়ভাবে একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বিশ্ব বহুমেরুকরণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়নকে উৎসাহিত করার জন্য যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে। পাঁচটি মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণ সমাজ এবং চীনের প্রস্তাবিত তিনটি প্রধান বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রতি তাঁদের সক্রিয় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা দৃঢ়ভাবে অবাধ বাণিজ্য ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা এবং যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষার বিষয়েও একমত হয়েছেন। এই ঐক্যমত্য বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে আরও স্থিতিশীলতা আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। (Source: CGTN)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us