প্যারিস এয়ারশোতে আক্রমণাত্মক অস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগে ইসরায়েলের চারটি প্রধান প্রতিরক্ষা কোম্পানির স্টল বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্স। রয়টার্সকে এক সূত্র জানিয়েছে, ফরাসি নিরাপত্তা সংস্থা স্টলগুলো থেকে আক্রমণাত্মক বা কাইনেটিক অস্ত্র সরাতে বলেছিল। কিন্তু ইসরায়েলি কোম্পানিগুলো সেই নির্দেশ অমান্য করায় কর্তৃপক্ষ স্টলগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়। প্যারিস এয়ারশোতে আক্রমণাত্মক অস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগে ইসরায়েলের চারটি প্রধান প্রতিরক্ষা কোম্পানির স্টল বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্স। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেলআবিব, যা ঐতিহ্যগতভাবে ঘনিষ্ঠ মিত্র দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও স্পষ্ট করছে। রয়টার্সকে এক সূত্র জানিয়েছে, ফরাসি নিরাপত্তা সংস্থা স্টলগুলো থেকে আক্রমণাত্মক বা কাইনেটিক অস্ত্র সরাতে বলেছিল। কিন্তু ইসরায়েলি কোম্পানিগুলো সেই নির্দেশ অমান্য করায় কর্তৃপক্ষ স্টলগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়।
এয়ারশোর আয়োজক সংস্থা ‘জিফাস’-এর মুখপাত্র জানান, কয়েকটি স্টল বন্ধ হয়েছে, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তবে যেসব স্টলে সামরিক হার্ডওয়্যার ছিল না, যেমন তিনটি ছোট আকারের ইসরায়েলি স্টল ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি স্টল, সেগুলো খোলা রয়েছে। সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সমালোচনার জেরে ফ্রান্স-ইসরায়েল সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ম্যাক্রোঁ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার জন্য ইরান দায়ী হলেও ইসরায়েলকে সংযম দেখাতে হবে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা অস্ত্র সরানোর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পরপরই রাতের আঁধারে আয়োজকরা ইসরায়েলি স্টলগুলোর চারপাশে একটি কালো দেয়াল তৈরি করে, যা তাদের অন্য দেশের স্টল থেকে আলাদা করে ফেলে। মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, ‘এই ঘৃণ্য ও নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থপ্রণোদিত।’ তারা আরও দাবি করে, ‘ফরাসিরা তথাকথিত রাজনৈতিক বিবেচনার আড়ালে ইসরায়েলের আক্রমণাত্মক অস্ত্রকে একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী থেকে বাদ দিচ্ছে—যে অস্ত্রগুলো ফরাসি প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে।’
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন