ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও ঊর্ধ্বমুখী ইউরোপীয় শেয়ার বাজার

ইসরায়েল-ইরান সংকটকে ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে তেলের দাম বাড়লেও প্রধান ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলি সামান্য বেশি খুলেছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে শুক্রবার তেলের দাম ৭% এরও বেশি বেড়েছে কারণ পশ্চিমা দেশগুলি তার বিক্রয় সীমাবদ্ধ করার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তেহরান বিশ্বের অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদক। একটি বৃহত্তর যুদ্ধ তার গ্রাহকদের কাছে ইরানি তেলের প্রবাহকে ধীর করে দিতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী প্রত্যেকের জন্য অপরিশোধিত ও পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু সোমবারের গোড়ার দিকে, সেই উদ্বেগগুলি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে মনে হয়। ইসরায়েল-ইরান সঙ্কটের চতুর্থ দিনেও তেলের দাম অস্থিতিশীল ছিল, তাদের লাভ কিছুটা ফিরিয়ে দেওয়ার আগে। সোমবার সকালে, মার্কিন বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৭৩.৭১ ডলারে লেনদেন হয়েছিল। ব্রেন্ট অপরিশোধিত, আন্তর্জাতিক মান, ব্যারেল প্রতি $৭৪, শুক্রবার থেকে নিচে কিন্তু এখনও ক্ষেপণাস্ত্র ফায়ার শুরু হওয়ার আগে দামের চেয়ে ৭% বেশি। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক হামলা মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে উদ্বেগকে উস্কে দিচ্ছে। তবে, বর্তমানে তেলের প্রবাহ প্রভাবিত হওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই এবং উদ্বেগ বাড়ছে। এদিকে, বড় তেল সংস্থাগুলি শেয়ার বাজারে পুরস্কৃত হচ্ছেঃ বিপি এবং শেল উভয়ই ইউরোপে সোমবার সকালের বাণিজ্যে ১% এরও বেশি লাভ করেছে। হারগ্রিভস ল্যান্সডাউন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কোম্পানির অর্থ ও বাজারের প্রধান সুসানা স্ট্রিটার বলেন, “তেল কোম্পানি এবং প্রতিরক্ষা ঠিকাদারদের লাভ এফটিএসই ১০০-কে প্রথম দিকে ইতিবাচক অবস্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এফটিএসই ১০০-এর শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলির শেয়ারগুলিও মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় বৃদ্ধি পাচ্ছিল যার ফলে মূল সুদের হার বেশি হতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড প্রায় ৩% বেড়েছে, বার্কলেস এবং ন্যাটওয়েস্ট সিইএসটি সকাল ১১ টার মধ্যে ১% এরও বেশি বেড়েছে।
এছাড়াও লন্ডনে ব্যাংকিং সেক্টরের লাভকে শক্তিশালী করে, বিনিয়োগ সংস্থা পোলেন স্ট্রিট ক্যাপিটাল ঋণদাতাকে গ্রহণ করবে এমন অনুমানের পরে মেট্রো ব্যাংকের শেয়ারগুলি ১৪% এরও বেশি বেড়েছে, স্কাই নিউজ প্রথম সপ্তাহান্তে রিপোর্ট করেছে। মে মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের খুচরা বিক্রয় বছরে ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পরে লন্ডনের বিনিয়োগকারীরা আস্থা অর্জন করেছেন। তবে, এটি শিল্প উৎপাদনে প্রত্যাশার চেয়ে কম প্রবৃদ্ধির সাথে মিলিত হয়েছিল, যা এখনও আগের বছরের তুলনায় ৫.৮% বেড়েছে। ইউরোপে সকাল ১১টার পর ব্রিটেনের এফটিএসই ১০০ ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮,৮৭৬.২৬-এ দাঁড়িয়েছে। জার্মানির উঅঢ ০.২% বৃদ্ধি পেয়ে ২৩,৫৭২.৩৯ এ এবং প্যারিসে ঈঅঈ ৪০ ০.৬% বৃদ্ধি পেয়ে ৭,৭২৮.৬৬ এ দাঁড়িয়েছে। সোনার দাম বেড়েছে কারণ এটি একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে রয়ে গেছে। শুক্রবার সোনার এক আউন্স ১.৪% যোগ করেছে, তবে সোমবার সকালে এর কিছু লাভ ফিরিয়ে দিয়েছে এবং প্রতি আউন্সে প্রায় ৩,৪৩৭ ডলারে লেনদেন হয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা যখন উদ্বিগ্ন বোধ করছেন তখন মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দামও বাড়ছে, কিন্তু শুক্রবার ট্রেজারির দাম কমেছে, যার ফলে তাদের ফলন বেড়েছে, আংশিকভাবে এই উদ্বেগের কারণে যে তেলের দাম বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি সম্প্রতি তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে এবং এটি ফেডারেল রিজার্ভের ২% লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি। তবে, রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের কারণে এটি ত্বরান্বিত হতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে। মার্কিন ভোক্তাদের মধ্যে অনুভূতি নিয়ে শুক্রবার প্রত্যাশার চেয়ে ভাল একটি প্রতিবেদনও ফলন বাড়াতে সহায়তা করেছে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ট্রাম্প তার অনেকগুলি শুল্ক স্থগিত করার পরে ছয় মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো মনোভাবের উন্নতি হয়েছে, যখন মার্কিন ভোক্তাদের ভবিষ্যতের মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা হ্রাস পেয়েছে। সোমবারের প্রথম দিকে মুদ্রা ব্যবসায় মার্কিন ডলার ১৪৪.০৩ ইয়েন থেকে বেড়ে ১৪৪.১৮ জাপানি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। ইউরো ১.১৫৩৩ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.১৫৮২ ডলারে। “ফেডারেল রিজার্ভ এই সপ্তাহে সুদের হার ধরে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে কিন্তু চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মন্তব্যগুলি নীতির ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনার জন্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।” এদিকে, এই সপ্তাহে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের একটি আর্থিক নীতি সভা রয়েছে, যেখানে “নীতিনির্ধারকেরা হার কমানোর বিষয়ে বিরতি দেওয়ার জন্য চাপ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে”, সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে স্ট্রিটার ব্যাখ্যা করেছেন। (সূত্রঃ ইউরো নিউজ)

ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও ঊর্ধ্বমুখী ইউরোপীয় শেয়ার বাজার
ইসরায়েল-ইরান সংকটকে ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে তেলের দাম বাড়লেও প্রধান ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলি সামান্য বেশি খুলেছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে শুক্রবার তেলের দাম ৭% এরও বেশি বেড়েছে কারণ পশ্চিমা দেশগুলি তার বিক্রয় সীমাবদ্ধ করার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তেহরান বিশ্বের অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদক। একটি বৃহত্তর যুদ্ধ তার গ্রাহকদের কাছে ইরানি তেলের প্রবাহকে ধীর করে দিতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী প্রত্যেকের জন্য অপরিশোধিত ও পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু সোমবারের গোড়ার দিকে, সেই উদ্বেগগুলি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে মনে হয়। ইসরায়েল-ইরান সঙ্কটের চতুর্থ দিনেও তেলের দাম অস্থিতিশীল ছিল, তাদের লাভ কিছুটা ফিরিয়ে দেওয়ার আগে। সোমবার সকালে, মার্কিন বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৭৩.৭১ ডলারে লেনদেন হয়েছিল। ব্রেন্ট অপরিশোধিত, আন্তর্জাতিক মান, ব্যারেল প্রতি $৭৪, শুক্রবার থেকে নিচে কিন্তু এখনও ক্ষেপণাস্ত্র ফায়ার শুরু হওয়ার আগে দামের চেয়ে ৭% বেশি। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক হামলা মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে উদ্বেগকে উস্কে দিচ্ছে। তবে, বর্তমানে তেলের প্রবাহ প্রভাবিত হওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই এবং উদ্বেগ বাড়ছে। এদিকে, বড় তেল সংস্থাগুলি শেয়ার বাজারে পুরস্কৃত হচ্ছেঃ বিপি এবং শেল উভয়ই ইউরোপে সোমবার সকালের বাণিজ্যে ১% এরও বেশি লাভ করেছে। হারগ্রিভস ল্যান্সডাউন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কোম্পানির অর্থ ও বাজারের প্রধান সুসানা স্ট্রিটার বলেন, “তেল কোম্পানি এবং প্রতিরক্ষা ঠিকাদারদের লাভ এফটিএসই ১০০-কে প্রথম দিকে ইতিবাচক অবস্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এফটিএসই ১০০-এর শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলির শেয়ারগুলিও মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় বৃদ্ধি পাচ্ছিল যার ফলে মূল সুদের হার বেশি হতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড প্রায় ৩% বেড়েছে, বার্কলেস এবং ন্যাটওয়েস্ট সিইএসটি সকাল ১১ টার মধ্যে ১% এরও বেশি বেড়েছে।
এছাড়াও লন্ডনে ব্যাংকিং সেক্টরের লাভকে শক্তিশালী করে, বিনিয়োগ সংস্থা পোলেন স্ট্রিট ক্যাপিটাল ঋণদাতাকে গ্রহণ করবে এমন অনুমানের পরে মেট্রো ব্যাংকের শেয়ারগুলি ১৪% এরও বেশি বেড়েছে, স্কাই নিউজ প্রথম সপ্তাহান্তে রিপোর্ট করেছে। মে মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের খুচরা বিক্রয় বছরে ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পরে লন্ডনের বিনিয়োগকারীরা আস্থা অর্জন করেছেন। তবে, এটি শিল্প উৎপাদনে প্রত্যাশার চেয়ে কম প্রবৃদ্ধির সাথে মিলিত হয়েছিল, যা এখনও আগের বছরের তুলনায় ৫.৮% বেড়েছে। ইউরোপে সকাল ১১টার পর ব্রিটেনের এফটিএসই ১০০ ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮,৮৭৬.২৬-এ দাঁড়িয়েছে। জার্মানির উঅঢ ০.২% বৃদ্ধি পেয়ে ২৩,৫৭২.৩৯ এ এবং প্যারিসে ঈঅঈ ৪০ ০.৬% বৃদ্ধি পেয়ে ৭,৭২৮.৬৬ এ দাঁড়িয়েছে। সোনার দাম বেড়েছে কারণ এটি একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে রয়ে গেছে। শুক্রবার সোনার এক আউন্স ১.৪% যোগ করেছে, তবে সোমবার সকালে এর কিছু লাভ ফিরিয়ে দিয়েছে এবং প্রতি আউন্সে প্রায় ৩,৪৩৭ ডলারে লেনদেন হয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা যখন উদ্বিগ্ন বোধ করছেন তখন মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দামও বাড়ছে, কিন্তু শুক্রবার ট্রেজারির দাম কমেছে, যার ফলে তাদের ফলন বেড়েছে, আংশিকভাবে এই উদ্বেগের কারণে যে তেলের দাম বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি সম্প্রতি তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে এবং এটি ফেডারেল রিজার্ভের ২% লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি। তবে, রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের কারণে এটি ত্বরান্বিত হতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে। মার্কিন ভোক্তাদের মধ্যে অনুভূতি নিয়ে শুক্রবার প্রত্যাশার চেয়ে ভাল একটি প্রতিবেদনও ফলন বাড়াতে সহায়তা করেছে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ট্রাম্প তার অনেকগুলি শুল্ক স্থগিত করার পরে ছয় মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো মনোভাবের উন্নতি হয়েছে, যখন মার্কিন ভোক্তাদের ভবিষ্যতের মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা হ্রাস পেয়েছে। সোমবারের প্রথম দিকে মুদ্রা ব্যবসায় মার্কিন ডলার ১৪৪.০৩ ইয়েন থেকে বেড়ে ১৪৪.১৮ জাপানি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। ইউরো ১.১৫৩৩ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.১৫৮২ ডলারে। “ফেডারেল রিজার্ভ এই সপ্তাহে সুদের হার ধরে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে কিন্তু চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মন্তব্যগুলি নীতির ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনার জন্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।” এদিকে, এই সপ্তাহে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের একটি আর্থিক নীতি সভা রয়েছে, যেখানে “নীতিনির্ধারকেরা হার কমানোর বিষয়ে বিরতি দেওয়ার জন্য চাপ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে”, সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে স্ট্রিটার ব্যাখ্যা করেছেন। (সূত্রঃ ইউরো নিউজ)