বিজ্ঞাপন আয়ঃ প্রথাগত গণমাধ্যমকে ছাড়িয়ে যাবেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা – The Finance BD
 ঢাকা     শুক্রবার, ২৭ Jun ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন আয়ঃ প্রথাগত গণমাধ্যমকে ছাড়িয়ে যাবেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা

  • ১৪/০৬/২০২৫

চলতি বছর বিজ্ঞাপন বাবদ আয়ের হিসাবে প্রথাগত গণমাধ্যমকে পেছনে ফেলে দেবেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্ট নির্মাতারা। নতুন এক গবেষণার বরাতে দিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে দর্শকদের অভ্যাস ও জীবনযাপনের ধরনে নাটকীয় পরিবর্তনের কারণেই গণমাধ্যম জগতে বড়সড় সাংস্কৃতিক রূপান্তর ঘটছে।
গবেষণার তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে ইউটিউব, টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্লাটফর্মে প্রচারিত কনটেন্ট প্রথাগত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের তৈরি কনটেন্টের চেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন আনবে। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্ট নির্মাতাদের ভিডিও, পডকাস্ট ও পোস্ট থেকে আয় টেলিভিশন চ্যানেল, সিনেমা হল ও সংবাদমাধ্যমের মতো পেশাদার সংস্থার তৈরি কনটেন্টের বিজ্ঞাপন আয়কে ছাড়িয়ে যাবে।
ডব্লিউপিপি মিডিয়ার ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ড চুক্তি ও স্পন্সরশিপ বাবদ কনটেন্ট নির্মাতাদের আয় বাড়বে ২০ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে এ খাতে আয় দাঁড়াবে ৩৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার, যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
২০২৪ সালে গুগল, মেটা, টিকটকের প্যারেন্ট বাইটড্যান্স, অ্যামাজন ও চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা এ পাঁচটি কোম্পানি কনটেন্ট থেকে বিশ্বব্যাপী মোট আয়ের ৫৪ শতাংশ দখলে রেখেছিল। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি বছর প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য নির্মিত কনটেন্ট থেকে কনটেন্টভিত্তিক বিজ্ঞাপন আয়ের অর্ধেকের বেশি আসবে। অবশ্য ইদানীং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রথাগত গণমাধ্যমের কনটেন্টের মধ্যে পার্থক্য কমে আসছে। এখন অনেক নির্মাতাই উচ্চমানের পেশাদার কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন। কনটেন্ট নির্মাতারা সাধারণত পেশাদার গণমাধ্যমকে খবরের উৎস হিসেবে ব্যবহার করলেও কনটেন্টে নিজস্ব রুচি ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটে।
টেলিভিশন, পডকাস্ট ও মিডিয়া খাতের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, ইউটিউব এখন গোটা মিডিয়া জগতের কেন্দ্রীয় কেন্দ্র হয়ে উঠছে। এ প্লাটফর্মের কনটেন্ট যে পরিমাণ বিজ্ঞাপন টানছে, তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে প্রথাগত গণমাধ্যম। এ আমূল পরিবর্তনের ফলে বিজ্ঞাপননির্ভর প্রথাগত গণমাধ্যমগুলো একদিকে যেমন আয়ের উৎস ধরে রাখার লড়াই করছে, তেমনি বাধ্য হচ্ছে খরচ কমাতেও। পশ্চিমা দেশগুলোয় এরই মধ্যে অনেক টেলিভিশন চ্যানেল বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছে। অনেকেই নিজেদের কনটেন্ট প্রচার করতে শুরু করেছে ইউটিউব ও টিকটকে।
গবেষণা সংস্থা এন্ডারস অ্যানালাইসিসের প্রধান নির্বাহী ডগলাস ম্যাককেব বলেন, ‘দর্শকদের এভাবে অনলাইন প্লাটফর্মে স্থানান্তর হওয়া স্বল্প সময়ে এক বিরাট সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিজ্ঞাপন আয়ও সে ধারাকেই অনুসরণ করছে। অনলাইন সার্চ থেকে রেফারেল ট্রাফিক কমে যাওয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সাংবাদ খাত। মিডিয়াকে এখন নিজেদের কৌশল ও লক্ষ্য সম্প্রসারণ করে দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।’

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us