চুক্তি ‘হয়ে গেছে’, চীন দেবে বিরল খনিজ, যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে পারবেন চীনা শিক্ষার্থীরা: ট্রাম্প – The Finance BD
 ঢাকা     রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

চুক্তি ‘হয়ে গেছে’, চীন দেবে বিরল খনিজ, যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে পারবেন চীনা শিক্ষার্থীরা: ট্রাম্প

  • ১২/০৬/২০২৫

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর চুক্তিটি কার্যকর হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তির আওতায়, বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রে চুম্বক ও বিরল খনিজ সরবরাহ করবে এবং চীনা শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। বুধবার (১১ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা মোট ৫৫ শতাংশ শুল্ক পাচ্ছি, চীন পাচ্ছে ১০ শতাংশ। সম্পর্ক চমৎকার!’
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানান, এ চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর সর্বমোট ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে– ১০ শতাংশের একটি কাঠামোগত ‘পাল্টা’ শুল্ক, ফেন্টানিল পাচারের বিরুদ্ধে ২০ শতাংশ এবং পূর্বঘোষিত শুল্কের আওতায় আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক। অপরদিকে, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর চুক্তিটি কার্যকর হবে। তিনি বলেন, ‘চীন সম্পূর্ণ চুম্বক এবং প্রয়োজনীয় সব বিরল খনিজ আগেভাগেই সরবরাহ করবে। একইভাবে, আমরা চীনের সঙ্গে যে বিষয়গুলো নিয়ে সম্মত হয়েছি, তা বাস্তবায়ন করব—এর মধ্যে রয়েছে চীনা শিক্ষার্থীদের আমাদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহারের সুযোগ (যা আমার কাছে সবসময়ই ইতিবাচক!)।’
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা জানান, বিরল খনিজ রপ্তানিতে চীনের আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিরোধের স্থায়ী সমাধানের কোনো স্পষ্ট লক্ষণ এই আলোচনায় উঠে আসেনি। লন্ডনে দুই দিনের টানা আলোচনার পর মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক সাংবাদিকদের বলেন, এই চুক্তি গত মাসে জেনেভায় যেটি নিয়ে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছিল দুই দেশ, সেটিকে এখন আরও পরিষ্কার ও বিস্তারিত করেছে। ওই সমঝোতার লক্ষ্য ছিল, একে অপরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বেশি মাত্রার শুল্ক কিছুটা কমানো। জেনেভায় হওয়া চুক্তিটি মূলত আটকে গিয়েছিল চীনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে। এর জবাবে ট্রাম্প প্রশাসনও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়—চীনে সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন সফটওয়্যার, বিমান ও অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের এই পাল্টাপাল্টি শুল্কনীতি বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বড় বড় বন্দরে দেখা দিয়েছে জট ও বিভ্রান্তি। ফলে বিভিন্ন কোম্পানি বিক্রি কমে যাওয়া ও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us