চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ২৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মোবাইল চুরির শিকার হয়েছেন। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ দুই বছরের ব্যবধানে দেশটিতে মোবাইল চুরি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। শুধু ডিভাইসই নয়, চোরদের টার্গেট এখন ব্যবহারকারীদের আর্থিক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা। সম্প্রতি ফিনটেক প্রতিষ্ঠান নিউক ফ্রম অরবিটের এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
সমীক্ষার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ২৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মোবাইল চুরির শিকার হয়েছেন। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ দুই বছরের ব্যবধানে দেশটিতে মোবাইল চুরি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শুধু ফোন হারানোই নয়, ফোনের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল ওয়ালেটেও প্রবেশ করা হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, চুরির শিকার হওয়া ৬২ শতাংশ ব্যবহারকারী আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এক-চতুর্থাংশের ডিজিটাল ওয়ালেট হ্যাক হয়েছে। নিউক ফ্রম অরবিটের প্রধান নির্বাহী জেমস ও’সুলিভান বলেন, অনেকেই একই পিন বিভিন্ন অ্যাপ ও ডিভাইসে ব্যবহার করেন। এটি নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৫ শতাংশ মানুষ একই বা কাছাকাছি ধরনের পিন ব্যবহার করেন। এছাড়া ১০ শতাংশ ব্যবহারকারী কখনোই পিন পরিবর্তন করেন না। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় নিউক ফ্রম অরবিট একটি নতুন সফটওয়্যার তৈরি করছে, যাতে ‘কিল সুইচ’ নামের একটি ফিচার থাকবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অন্য যেকোনো ডিভাইস থেকে নিজের চুরি হওয়া ফোনের অ্যাপ ও অ্যাকাউন্টগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করতে পারবেন। এতে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সমীক্ষা বলছে, চুরি হওয়ার পর মাত্র ২৪ শতাংশ মানুষই সরাসরি পুলিশকে জানান। বেশির ভাগ ব্যবহারকারী প্রথমে ব্যাংক বা মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এটি ফোন চুরি করা ব্যক্তির কাজকে সহজ করে তোলে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৭১ শতাংশ তরুণ প্রতিদিন অসংখ্যবার প্রকাশ্যে ফোন ব্যবহার করেন। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে ও গণপরিবহনে তারা এভাবে সহজেই টার্গেটে পরিণত হন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন মোবাইল চুরি শুধু ডিভাইস হারানোর বিষয় নয়। বরং এটি একটি বড় ধরনের সাইবার হুমকি।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন