চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং কিরিবাতির প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানেতি মামাউ চীনের সিয়ামেন শহরে যৌথভাবে তৃতীয় চীন-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ-দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ওয়াং ই বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উত্থাপিত ‘চার দিকের সম্পূর্ণ সমতা’ হল চীন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ-দেশগুলোর সম্পর্কের মূল নীতি। প্রেসিডেন্ট সি ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ-দেশগুলোর নেতাদের কৌশলগত নেনৃত্বে, দু’পক্ষের সার্বিক কৌশলগত অংশিদারিত্বের সম্পর্কে দেখা দেয় নতুন প্রাণশক্তি এবং নতুন অগ্রগতি অর্জিত হয়।
চীন- প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ-দেশগুলোর অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিট গঠনের বিষয় নিয়ে ওয়াং ই ৬টি প্রস্তাব দেন। এক, পারস্পরিক সমতায় অবিচল থাকা। দ্বীপপুঞ্জ দেশ নিজের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অধিকার রক্ষা করতে বেইজিং সমর্থন দেয় এবং বিশ্বাস করে দ্বীপ-দেশগুলো এক চীন নীতি মেনে চলবে। দুই, উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়া। একসাথে বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে এবং ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রস্তাবের উচ্চ মানের যৌথ নির্মাণ এগিয়ে নিয়ে যাবে। দ্বিপক্ষীয় অবাধ বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা দ্রুততর করবে। তিন, মানুষকে কেন্দ্র করা। এ বছরে ২০০টি ‘ছোট তবে সুন্দর’ জীবিকা উন্নয়ন প্রোগ্রাম চালু করা হবে। চার, বিনিময় ও পরস্পরের কাছ থেকে শেখা। মিডিয়া, যুবক, নারী ও ক্রীড়াসহ নানা বিষয় নিয়ে যোগাযোগ ও বিনিময় জোদার করা। পাঁচ, ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচারে অবিচল থাকা। জাতিসংঘকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক আইন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা কর। ছয়,চ্যালেঞ্জের মুখে ঐক্যবদ্ধ থাকা। মহাসাগরীয় দ্বীপ-দেশগুলোর সঙ্গে বিশ্ব জলবায়ু প্রশাসনে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোদার করতে ইচ্ছুক চীন। (সূত্রঃ সিজিটিএন)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন