ঈদ-উল- আযহার কারণে পাকিস্তান সরকার আবার বাজেট পিছিয়ে দিতে পারে।

ইসলামাবাদঃ অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, ঈদ ছুটির কারণে আরোপিত প্রোগ্রামিং বিধিনিষেধের কারণে ফেডারেল সরকার ২০২৫-২৬ সালের বাজেট উপস্থাপন বিলম্বিত করতে পারে। যেহেতু ঈদ-উল-আযহা ৭ ও ৮ জুন (শনিবার ও রবিবার) পড়বে, সূত্রগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পদ্ধতিগুলিকে সামঞ্জস্য করার জন্য ৯ই জুন, তৃতীয় ঈদকে কর্মদিবস হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। ক্যালেন্ডারে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের (সিইএন) সভা এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৫ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে, অর্থ মন্ত্রকের সূত্রগুলি বলছে যে ৯ই জুন এনইসি-র একটি বৈঠকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমীক্ষা চালু করা অনিবার্য হবে। এনইসির সভা, যা সাধারণত পুরো দিন জুড়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্রীয় ও প্রাদেশিক উন্নয়ন কর্মসূচি চূড়ান্ত করে এবং চারটি প্রদেশের মন্ত্রীদের প্রধান, আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী এবং গিলগিট-বাল্টিস্তানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। ঐতিহ্যগতভাবে, এনইসি-র বৈঠক এবং সংসদে যুক্তরাষ্ট্রীয় বাজেটের আনুষ্ঠানিক উপস্থাপনার মধ্যে দুই দিনের ব্যবধান পালন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, কর্মকর্তারা পরামর্শ দেন যে, বর্তমান প্রত্যাশার চেয়ে দু ‘দিন পরে, ১০ই জুন এখন ১২ই জুন বাজেট পেশ করা যেতে পারে। কয়েক দিন আগে, ফেডারেল সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে আলোচনায় আর্থিক উদ্দেশ্যগুলি সমাধান না হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রাথমিকভাবে ২ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত তারিখের বাজেট উপস্থাপনা স্থগিত করেছিল। সরকার এবং আইএমএফ-এর মধ্যে আলোচনা গত সপ্তাহে আবার শুরু হলেও কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রীয় অর্থমন্ত্রী মহম্মদ ঔরঙ্গজেব শ্রমিক শ্রেণীর জন্য আর্থিক স্বস্তির কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে, পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রীয় বাজেটে ব্যক্তিগত কর্মচারীদের আর্থিক বোঝা উপশম করার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সোমবার ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার কর্মীদের উপর করের বোঝা কমাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার সাথে সাথেই তাদের আয়ের উপর কর আরোপ করা হয়। তিনি বাজেটে কেবল আয় ও ব্যয়ের অবস্থা নয়, কৌশলগত দিকনির্দেশনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। (সূত্রঃ জিও নিউজ)