চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার ২৬৪ কোটি ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার ২৬৪ কোটি ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে তুলনামূলক ১৫টি অপ্রচলিত বাজার রয়েছে। এসব বাজারের মধ্যে ভারতে পোশাক রফতানিতে ১০ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। একই সময়ে চীনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য থেকে বিজিএমইএর সংকলন করা পরিসংখ্যানে এ চিত্র দেখা যাচ্ছে।
তৈরি পোশাকের অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মেক্সিকো, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, চিলি ও ব্রাজিল। এ ১৫টির পাশাপাশি অন্যান্য অপ্রচলিত গন্তব্যে ১০ মাসে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির অর্থমূল্য ছিল ৫৪৭ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পোশাক রফতানি হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ১০ হাজার ডলারের, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। সম্ভাবনায় আরেক বাজার চীনে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রফতানি হয়েছে ১৭ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পোশাক, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি।
আলোচ্য ১০ মাসে জাপানে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। রফতানি বেড়েছে বা ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, সৌদি আরব, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, চিলি ও ব্রাজিল। এ দেশগুলোয় প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২১ দশমিক ৮৯, ৫ দশমিক শূন্য ১, ৩২ দশমিক ৩৫, ৬ দশমিক ২৪, ১২ দশমিক ৬৭ এবং ২২ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এদিকে রাশিয়ায় পোশাক রফতানিতে ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ নেতিবাচক বা ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইউএই, মালয়েশিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। এ দেশগুলোয় প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ঋণাত্মক ৬ দশমিক শূন্য ৬, ১১ দশমিক ৫৪, ১৩ দশমিক ৫৪ এবং ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রফতানি ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বাজারগুলোয় মোট রফতানি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। মোট রফতানিতে অপ্রচলিত বাজারের অংশ ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। চলমান বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকট বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে।’ রফতানি বহুমুখীকরণের জন্য অপ্রচলিত বাজারের ওপর আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন