বিআরআই’র আওতায় উচ্চমানের নির্মাণ: হাতে হাত রেখে এগুচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আধুনিকায়ন – The Finance BD
 ঢাকা     রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

বিআরআই’র আওতায় উচ্চমানের নির্মাণ: হাতে হাত রেখে এগুচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আধুনিকায়ন

  • ১৪/০৫/২০২৫

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলের কুয়ানতান বন্দর এবং চীনের কুয়াংসি’র বেইবু উপসাগরীয় বন্দর’কে সংযুক্ত নতুন রুট চালু হচ্ছে। এতে করে মালয়েশিয়ার ডুরিয়ান ও মাংখুট সরাসরি চীনা বাজারে পৌঁছে যাবে। চীনের কৃষি-সার ও নিত্য-ব্যবহার্য্য পণ্য সহজেই দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় বাজারে প্রবেশ করবে। চীন নিকটবর্তী দেশের সঙ্গে উচ্চমানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে’র (বিআরআই) আওতায় নির্মাণে নতুন চালিকাশক্তি যোগায়।
যৌথভাবে বিআরআই’র আওতায় নির্মাণে প্রথম প্রধান সহযোগিতামূলক অংশীদার হলো নিকটবর্তী দেশ। প্রথম প্রধান সুবিধাভোগীও নিকটবর্তী দেশ। ২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কাজাখস্তান ও ইন্দোনেশিয়া সফরকালে ‘সিল্করোড ইকোনমিক বেল্ট’ এবং ‘একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক সিল্ক রোড’ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ উত্থাপন করার পর থেকে, চীন নিকটবর্তী দেশের সঙ্গে যৌথ আলোচনা, নির্মাণ ও সমন্বিত অর্জনে অবিচল রয়েছে। উচ্চমানে বিআরআই নির্মাণ ফলপ্রসু হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট দেশের জীবিকা ও কল্যাণ উন্নীত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এবং নিকটবর্তী অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠা বেগবান করার জন্য ধারাবাহিক চালিকাশক্তি যোগায়।
অন্যদিকে, সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন। নিকটবর্তী দেশগুলো বিআরআই’র ডেকে আনা বিরাট উন্নয়ন সুযোগ’কে স্বীকার করে এবং দৃঢ়তার সাথে উচ্চমানের বিআরআই’কে সমর্থন করে।
উচ্চমানে বিআরআই নির্মাণ করাটা নিকটবর্তী দেশের উন্নয়ন কৌশলের সাথে সংগতিপূর্ণ। চীন নিকটবর্তী ২৫টি দেশের সঙ্গে বিআরআই সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। একই সময় বিআরআই উদ্যোগটি রাশিয়ার-ইউরেশিয়া অর্থনৈতিক গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা, কাজাখস্তানের ‘উজ্জ্বল পথ’ নতুন অর্থনৈতিক নীতি এবং মঙ্গোলিয়ার ‘গ্রাসল্যান্ড রোড’ উদ্যোগসহ বিভিন্ন দেশের কৌশল ও আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে কার্যকরভাবে সংযুক্ত করে। সম্প্রতি মধ্য এশিয়া নতুন রুট চালু হয়। চীন-কিরগিজস্তান-উজবেকিস্তান রেলপথ প্রকল্প শুরু হয়। নতুন পশ্চিমাঞ্চলীয় স্থল-সমুদ্র করিডোর মালবাহী ট্রেন বছরের ১০ হাজার ট্রিপের মাইলফলক অতিক্রম করে। চীন-লাওস রেলপথ ৫ কোটি পার্সন-টাইমস পর্যটক পরিবহন করেছে। বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়েছে, বিভিন্ন পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় ‘৬ করিডোর, ৬ রাজপথ, বহু দেশ ও বহু বন্দর’-এর আন্তঃযোগাযোগ কাঠামো মৌলিকভাবে গড়ে তোলা হয়। আঞ্চলিক দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সুষ্ঠু করার পাশাপাশি বিভিন্ন পক্ষ আরো ভালোভাবে বিশ্ব সাপ্লাই চেইন, শিল্প চেইন ও মূল্য চেইনে শক্তি যুগিয়ে, ইন্টারেক্টিভ উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছে।
উচ্চমানে বিআরআই নির্মাণ করাটা নিকটবর্তী দেশের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ায় সহায়তা দেয়। ‘বিআরআইয়ের কারণে মঙ্গোলিয়া কয়েকশ’ রোগী পুনরায় দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া থেকে, থাইল্যান্ডের লুবান কর্মশালা নিকটবর্তী বৃত্তিমূলক কলেজ এমনকি আসিয়ান বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্পদ কেন্দ্রে পরিণত হওয়া পর্যন্ত, কম্বোডিয়ার সিহানুকভিল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ২শ’র বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের আকর্ষণ করা থেকে চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর ২৫ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলারের সরাসরি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করে, ২.৩ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা পর্যন্ত—উচ্চমানে বিআরআই নির্মাণের কাঠামোয় নিকটবর্তী দেশের আরো বেশি মানুষ ভালো জীবনযাপন করছেন।
চীন নিকটবর্তী দেশের সঙ্গে উচ্চমানের বিআরআই নির্মাণ করে, অব্যাহতভাবে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা সম্প্রসারণ করে, আরো ঘনিষ্ঠ সহাবস্থান ও সমন্বিত উন্নয়ন কাঠামো গড়ে তুলছে। নতুন আরম্ভ-বিন্দুতে দাঁড়িয়ে, চীন অধিকতরভাবে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের বিশাল সুযোগ ভাগাভাগি করে, অব্যাহতভাবে নিকটবর্তী দেশের সঙ্গে পারস্পরিক কল্যাণ ও উভয়ের জন্য কল্যাণকর সহযোগিতামূলক পরিকল্পনা সুবিন্যস্ত করার মাধ্যমে বিআরআইকে আরো সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত করবে। (সূত্রঃ সিজিটিএন)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us