যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সৌদি আরবের এই বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলোর মধ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা বিক্রয় চুক্তি, যার মূল্য প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার। গত এপ্রিল মাসে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের একটি অস্ত্র চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সৌদি যুবরাজের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করি আমরা একে অপরকে খুবই পছন্দ করি।’
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে রিয়াদের সম্ভাব্য লকহিড এফ-৩৫ জেট কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন আলোচনার সঙ্গে জড়িত দুই সূত্র। বহুদিন ধরেই সৌদি আরব এই সামরিক বিমানটি কিনতে আগ্রহী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার ঘোষিত চুক্তিতে এই বিমান অন্তর্ভুক্ত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন কয়েকজন মার্কিন ব্যবসায়ী নেতা, এর মধ্যে ধনকুবের ইলন মাস্কও রয়েছেন। আগামীকাল বুধবার রিয়াদ থেকে কাতার এবং বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবেন তারা। ট্রাম্প ইসরায়েলে কোনো সফরসূচি রাখেননি, এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে যে, ওয়াশিংটনের অগ্রাধিকার তালিকায় ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশটির অবস্থান এখন ঠিক কোথায়। যদিও এই সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিনিয়োগ, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা বিষয় নয়।
মন্তব্য করুন