যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট সম্প্রতি ‘চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ যথেষ্ট খারাপ? শুধু অপেক্ষা করুন এবং দেখুন’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মার্কিন সরকার ‘প্রথমে গুলি করা, পরে ভাবার’ ধারণায় চীনের ওপর শুল্কনীতি আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ‘বিচ্ছিন্নতার’ খরচ হবে অর্থনৈতিক মন্দা, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অথবা আরও খারাপ পরিস্থিতি। নিবন্ধে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত ৮০ শতাংশেরও বেশি স্মার্টফোন এবং ৭৮ শতাংশ কম্পিউটার মনিটর চীন থেকে আসে। আগামী মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কি নতুন সরবরাহকারী খুঁজে পাবে? এদিকে, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল, গ্যাস ও সয়াবিন আমদানি করে। তবে, সহজেই অন্যান্য দেশ থেকে তা কিনতে পারবে।
দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করা কি সত্যিই কৌশলগত ঝুঁকি কমাতে পারে? দুটি দেশের অর্থনীতির ‘বিচ্ছিন্নতা’ যুক্তরাষ্ট্রকে আরও দরিদ্র করে তুলবে। অক্সফোর্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউট ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, চীনের উপর অতিরিক্ত শুল্কের কারণে মার্কিন জিডিপি ১.৪ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। তার অর্থ, প্রতি বছর শত শত বিলিয়ন ডলার সম্পদের ক্ষতি। এ ছাড়া, কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ শৃঙ্খল সামঞ্জস্য করার সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি ঘটবে; বিশেষীকরণ হ্রাসের ফলে উত্পাদনশীলতা হ্রাস পাবে এবং অন্যান্য ব্যয়ও বৃদ্ধি পাবে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন