অভিবাসী তাড়াতে ২০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেবেন ট্রাম্প – The Finance BD
 ঢাকা     রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৮ অপরাহ্ন

অভিবাসী তাড়াতে ২০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেবেন ট্রাম্প

  • ১২/০৫/২০২৫

অভিবাসন নীতিতে আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগকে (ডিএইচএস) শুক্রবার অন্তত ২০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন, যারা অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজে অংশ নেবেন। এ উদ্যোগ ‘প্রজেক্ট হোমকামিং’ নামে নতুন একটি কর্মসূচির অংশ, যার লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করা। খবর বিবিসি।
এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের (অভিবাসী) যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়াকে যতটা সম্ভব সহজ করে তুলছি।’ তার পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যারা স্বেচ্ছায় দেশ ছাড়বে, তাদের বিমান ভাড়া সরকার দেবে। পাশাপাশি প্রত্যেক অভিবাসীকে ১ হাজার ডলার করে ‘এক্সিট বোনাস’ দেয়া হবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডিএইচএসের অধীন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সংস্থায় ২১ হাজারের বেশি কর্মকর্তা কাজ করছেন। এর মধ্যে প্রায় ৬ হাজার ১০০ জন ডিপরটেশন অফিসার ও ৭৫০ জন এনফোর্সমেন্ট রিমুভাল সহকারী রয়েছেন। ট্রাম্পের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী এ জনবল আরো বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ, ন্যাশনাল গার্ড ও সাবেক ফেডারেল কর্মকর্তাদেরও এ কাজে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এ কর্মসূচির অর্থ কোথা থেকে আসবে বা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। যদিও ডিএইচএস সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোএম জানিয়েছেন, যারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়বেন, তাদের বিমান ভাড়া ও বোনাস দেয়া হবে। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু বিতর্কিত বহিষ্কার পদক্ষেপ আদালতে আটকে গেছে। বিশেষ করে ১৭৯৮ সালের প্রাচীন ‘এলিয়েন এনেমিস অ্যাক্ট’ ব্যবহার করে ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের বহিষ্কারের চেষ্টাকে সম্প্রতি টেক্সাস ও নিউইয়র্কের দুটি আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে। আইনি বাধা থাকলেও ট্রাম্প নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়বেন না, তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এসব শাস্তির মধ্যে আছে কারাদণ্ড, সম্পত্তি জব্দ, মজুরি আটক ও হঠাৎ জোরপূর্বক বহিষ্কার।
‘প্রজেক্ট হোমকামিং’ পরিকল্পনায় ট্রাম্প একদিকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ায় উৎসাহ দিচ্ছেন, অন্যদিকে যারা যেতে চাইবেন না, তাদের জন্য কঠোর শাস্তির হুমকি দিচ্ছেন। এতে আগামী দিনে রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্ক আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us