প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় (জিএমটি) দাসোর এভিয়েশনের শেয়ার মূল্য নেমে আসে ৩৬২ দশমিক শূন্য ৫ ডলার বা ৩২০ দশমিক ২ ইউরোতে। যেখানে দুই দিন আগেও সেটি ছিল ৩৭৩ দশমিক ৮ ডলার বা ৩৩১ দশমিক ২ ইউরো। অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তানের এ সংঘাত শুরু হওয়ার পর, চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (সিএসিএ)-এর শেয়ারের দাম দুই দিনের ব্যবধানে প্রায় ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট মার্কেটওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৬ মে) ভারতের হামলার দিনও (সিএসিএ)-এর শেয়ার মূল্য ছিল ৫৯ দশমিক ২৩ ইয়ুয়ান। জে-১০ যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে রাফাল গুলি করে নামানো হয়েছে—এমন তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উত্থান দেখা যায়। শেংজেন স্টক এক্সচেঞ্জে ওই দিনের শুরুতে চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশন ৭০ ইয়ুয়ানে লেনদেন শুরু করে এবং দিনের শেষে লেনদেন বন্ধ হয় ৮৩ দশমিক ২০ ইয়ুয়ানে। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে সামরিক অভিযান চালায় ভারত। ভারতের দাবি, তাদের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের নয়টি ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’। এর জবাবে পাকিস্তান চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমান দিয়ে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে জানায়, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রান্স নির্মিত রাফাল। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার সংসদে বলেন, ‘আমাদের ফাইটার জেট ভারতীয় রাফাল গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তিনটি রাফাল ছিল। আমাদের দিক থেকে ছিল জে-১০সি, যা চীনের সহযোগিতায় তৈরি।’
পাকিস্তানের দাবি সত্যি হলে এটি হবে জে-১০সি যুদ্ধবিমানের ইতিহাসে আকাশযুদ্ধে প্রথম সফলতা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম রাফাল ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা। পাকিস্তানের এ দাবি নিয়ে ভারত আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য না করলেও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে নিশ্চিত করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, ফরাসি এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তান একটি রাফালে জেট গুলি করে নামিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। চীনের তৈরি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান জে-১০ দিয়ে ভারতের অন্তত দুইটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে রয়টার্সকেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা। রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তানের জে-১০ যুদ্ধবিমান থেকে ভারতের যুদ্ধবিমানের ওপর আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র (এয়ার টু এয়ার মিসাইল) ছোড়া হয়, যার ফলে অন্তত দুটি বিমান ধ্বংস হয়। আরেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ভূপাতিত বিমানগুলোর মধ্যে অন্তত একটি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল। তিনি আরও নিশ্চিত করেন, পাকিস্তানের বহরে থাকা মার্কিন তৈরি এফ-১৬ বিমানগুলো এই অভিযানে অংশ নেয়নি।
মন্তব্য করুন