মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধঃ শিগগিরই পণ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন

মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধঃ শিগগিরই পণ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে

  • ০৭/০৫/২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে ভিড়তে শুরু করেছে চীনের ১৪৫ শতাংশ শুল্কযুক্ত পণ্যবাহী জাহাজ। যার ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশজুড়ে অনেক পণ্যের দাম বাড়বে। সেইসঙ্গে কিছু পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা শিগগিরই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে ভিড়তে শুরু করেছে চীনের ১৪৫ শতাংশ শুল্কযুক্ত পণ্যবাহী জাহাজ। যার ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশজুড়ে অনেক পণ্যের দাম বাড়বে। সেইসঙ্গে কিছু পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। খবর সিএনএন।

লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরের নির্বাহী পরিচালক জিন সেরোকা মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেন, “এই সপ্তাহে আমরা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ কম কার্গো পেয়েছি। এই জাহাজগুলোই প্রথম যেগুলো সম্প্রতি চীনের ওপর আরোপিত শুল্কের আওতায় পড়ছে। ফলে কার্গো ভলিউম খুবই কম।”

তিনি জানান, বর্তমানে বন্দরে আসা চীনা পণ্যের আমদানি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে, কারণ অনেক আমদানিকারক আগের অর্ডার বাতিল করেছেন। মে মাসে লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরে চীনের ৮০টি পণ্যবাহী জাহাজ প্রবেশের কথা ছিল। তবে এরই মধ্যে ২০টি যাত্রা বাতিল হয়েছে, জুন মাসের জন্যও ১৩টি জাহাজ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেরোকা। ফ্লেক্সপোর্টের সিইও রায়ান পিটারসেন জানান, অনেক খুচরা বিক্রেতা চীনা পণ্য আমদানি না করে সেগুলো চীনের গুদামেই সংরক্ষণ করে রাখছেন, কারণ শুল্ক পরিশোধ করার চেয়ে তা সস্তা। বর্তমানে মার্কিন দোকানগুলো আগের গুদামজাত পণ্য বিক্রি করছে, কিন্তু সেই মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভোক্তারা ঘাটতি টের পাবে আর তখনই দাম বাড়তে শুরু করবে বলে অভিমত রায়ান পিটারসেনের।

জাতীয় খুচরা বিক্রেতা ফেডারেশন অনুমান করছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মোট আমদানি বছরে অন্তত ২০ শতাংশ কমবে। আর জেপি মর্গান বলছে, চীন থেকে আমদানি ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ওয়েলস ফারগো ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, ২৭ মে’র আগে যেসব পণ্য চীনা বন্দর ছেড়ে এসেছে, সেগুলো শুল্কমুক্ত প্রবেশ করতে পারবে। ফলে এপ্রিলের তথ্যের মধ্যে কিছু ‘শেষ মুহূর্তের’ রফতানি দেখা যেতে পারে, কিন্তু এরপর থেকে বাণিজ্য প্রবাহ অনেক কমে আসবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান শুল্ক যুদ্ধ মার্কিন অর্থনীতির জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি ও সরবরাহ সংকটের কারণে ভোক্তাদের সীমিত পণ্যের মধ্যে উচ্চ দামে পণ্য কিনতে হতে পারে। আর এই প্রভাব দ্রুত আসছে বলে আশংকা তাদের।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us