বন্ধ হচ্ছে ‘স্কাইপ’, প্রায় দুই যুগের যাত্রার সমাপ্তি আজ – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন

বন্ধ হচ্ছে ‘স্কাইপ’, প্রায় দুই যুগের যাত্রার সমাপ্তি আজ

  • ০৬/০৫/২০২৫

২০০৩ সালে চালু হওয়া স্কাইপ প্রথমে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে বিনামূল্যে কল করার সুবিধা দেয়। পরে স্কাইপের মাধ্যমে মানুষ কম খরচে বিদেশে ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল নম্বরে কল করতে সুযোগ পায়। ফলে পরিষেবাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।জনপ্রিয় ভিডিও কলিং পরিষেবা স্কাইপ বন্ধ করে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠাতা মাইক্রোসফট। লাখের বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে এক সময় ইন্টারনেট কলিংয়ের শীর্ষে থাকা প্লাটফর্মটি আজ থেকে আর ব্যবহার করা যাবে না। খবর বিবিসি।এর আগে এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, ‘২০২৫ সালের মে মাসে স্কাইপ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। এ পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে পেইড ও ফ্রি ব্যবহারকারীর ওপর।’

২০০৩ সালে চালু হওয়া স্কাইপ প্রথমে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে বিনামূল্যে কল করার সুবিধা দেয়। পরে স্কাইপের মাধ্যমে মানুষ কম খরচে বিদেশে ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল নম্বরে কল করতে সুযোগ পায়। ফলে পরিষেবাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে মাইক্রোসফট সাম্প্রতিক বছরগুলোয় টিমস অ্যাপে বেশি মনোযোগ দেয়ায় স্কাইপের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। এছাড়া কভিড-১৯ মহামারীর সময় স্ল্যাক ও মাইক্রোসফট টিমসের পাশাপাশি জুমের মতো নতুন ভিডিও প্লাটফর্ম ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ওই সময়ই স্কাইপের প্রয়োজনীয়তা কমতে থাকে।
প্রতিবেদন বলছেন, ২০১১ সালে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৮৫০ কোটি ডলারে প্লাটফর্মটি কিনে নেয় সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফট। এটি ছিল মাইক্রোসফটের তখনকার সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ। তবে নানা কারণে স্কাইপের নাম প্রযুক্তি জগৎ থেকে ধীরে ধীরে মুছে যেতে শুরু করে। এর মধ্যে একটি ছিল নতুন উদ্ভাবনের সঙ্গে প্লাটফর্মটির খাপ খাইয়ে নিতে না পারা। মাইক্রোসফট যখন ২০১১ সালে ইবে থেকে স্কাইপ কিনেছিল, তখন বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭ কোটি। ২০২৩ সালের মধ্যে স্কাইপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখে নেমে আসে। যদিও ২০২০ সালে শুরুতে প্লাটফর্মটির ব্যবহারকারী এক মাসে প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ে। ওই সময় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউনে থাকায় যোগাযোগের জন্য অনলাইন বিভিন্ন প্লাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়। ফলে ব্যবহারকারী বাড়লেও জুমের মতো প্রতিযোগীর কাছে হার মানতে হয় স্কাইপকে।
স্কাইপের পতন ছিল ধীরগতির, যা স্মার্টফোন-ভিত্তিক অ্যাপ ও জুম ভিডিও কলের উত্থানে আরো বাড়তে থাকে। মাইক্রোসফট যখন স্কাইপকে কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য পরিমার্জনের চেষ্টা করেছিল, তখন এটি ‘স্ল্যাকের’ কাছে পরাজিত হয়। পরে মাইক্রোসফট নতুন অ্যাপ ‘টিমস’ তৈরি করে। ফলে স্কাইপ আরো পিছিয়ে যায়। এরপর টিমসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ায় মাইক্রোসফট, এটি নিজেদের সফটওয়্যারের সঙ্গে একত্র করে। স্কাইপ ব্যবহারকারীদের এখন স্ল্যাকের শক্তিশালী প্রতিযোগী টিমসে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো উদীয়মান অ্যাপগুলো জনপ্রিয়তা পাওয়ায় স্কাইপের উত্থান থেমে যায়। এখন স্কাইপের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোসফট টিমসের দিকে বেশি মনোনিবেশ করছে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, স্কাইপ ব্যবহারকারীরা তাদের বর্তমান অ্যাকাউন্ট দিয়েই টিমসে লগইন করতে পারবে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us