আগামী দশকে হাইড্রোজেন বাজারের নেতৃত্ব দেবে সৌদি আরব – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০১:২০ অপরাহ্ন

আগামী দশকে হাইড্রোজেন বাজারের নেতৃত্ব দেবে সৌদি আরব

  • ০৬/০৫/২০২৫

নিওম ও আকওয়া পাওয়ারের সহযোগিতায় দেশটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান হাইড্রোজেন রফতানিকারক হতে চায়। ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনা, ইউরোপ ও এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সরকারি সহায়তা এ অগ্রগতিকে আরো গতি দিচ্ছে। নবায়নযাগ্য জ্বালানির বাজারে শীর্ষস্থান দখলের পথে অগ্রসর হচ্ছে সৌদি আরব। দেশটির সরকার সবুজ ও নীল হাইড্রোজেন উৎপাদনে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। আশা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অর্ধেক নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসবে। ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সৌদি সরকার।
সৌদি আরবের অন্যতম বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নিওম। যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাইড্রোজেন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ২০২৬ সালের মধ্যে প্রতিদিন ৬৫০ টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও সৌদির আকওয়া পাওয়ার কোম্পানি ১৫শ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। ফলে বছরে কার্বণ নিঃসরণ কমবে প্রায় ৩০ লাখ টন। এছাড়া সৌদি আরবের আরামকো কোম্পানি ৩ হাজার কোটি ডলার মূল্যের নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সৌদি আরব হাইড্রোজেন উৎপাদন ও রফতানির জন্য এক বড় দিকনির্দেশনা তৈরি করবে। সৌদি সরকার জানিয়েছে যে তারা আগামী দশকে সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনে ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। সেই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নীল হাইড্রোজেন উৎপাদনের ১৫ শতাংশ শেয়ার নিতে চায় সৌদি সরকার। এ সাফল্যে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে সৌদি আরবের প্রাকৃতিক পরিবেশ। বিশেষত দেশের বড় মরুভূমি এলাকাগুলোতে প্রচুর রোদ ও বাতাসের সুবিধা রয়েছে যা সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য আদর্শ। ফলে দেশটিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন খরচও আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া সৌদি আরব আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে তার হাইড্রোজেন খাতের বিকাশ ত্বরান্বিত করছে। নিওম ও আকওয়া পাওয়ারের সহযোগিতায় দেশটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান হাইড্রোজেন রফতানিকারক হতে চায়। ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনা, ইউরোপ ও এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সরকারি সহায়তা এ অগ্রগতিকে আরো গতি দিচ্ছে। সৌদি আরবের এই উদ্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিশ্ববাজারে তাদের হাইড্রোজেন শক্তির রফতানি সক্ষমতা বাড়ানো। দেশের উপযুক্ত অবস্থান ও আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে সৌদি আরব আগামী দশকে বিশ্ব হাইড্রোজেন বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সৌদি আরবের বর্তমান তেলের অবকাঠামো, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব ও বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ হাইড্রোজেন বাজারে তাদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের সম্ভাবনা আরো দৃঢ় করছে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us