চীনের ওপর শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়তে পারে এবং বাজারে ভোক্তার পছন্দের জিনিসের সংখ্যা কমে যেতে পারে।চীনের ওপর শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়তে পারে এবং বাজারে ভোক্তার পছন্দের জিনিসের সংখ্যা কমে যেতে পারে। এক বক্তব্যে গত সপ্তাহে এমন মন্তব্য করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আমেরিকান শিশুদের কাছে ৩০টি পুতুলের বদলে এখন হয়তো মাত্র দুটি থাকবে। তবে বাণিজ্যযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চীন।’ খবর এপি।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কনীতির কারণে মন্দা আসবে না বলে দেশকে বারবার আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক দেখা গেছে, বছরের প্রথম তিন মাসে মার্কিন অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। এ পরিস্থিতির জন্য তিনি দায় চাপিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পূর্বসূরি জো বাইডেনের ওপর। মন্ত্রিসভায় তিনি বলেন, ‘শুল্কের কারণে চীনের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাদের ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। বিশ্বের প্রধান রফতানিকারকের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তেমন কিছু আমদানির প্রয়োজন নেই।’
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘অনেকে বলছেন দোকানের তাক ফাঁকা হয়ে যাবে। আমি বলছি, হয়তো শিশুরা ৩০টি পুতুলের বদলে দুটি পাবে, সে পুতুল দুটোর দাম হয়তো একটু বেশি হবে।’ তবে তার মতে, এটি তেমন কোনো বড় সমস্যা নয়। দেশটির বাণিজ্য দপ্তরের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বার্ষিক হিসাবে দশমিক ৩ শতাংশ হারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থনৈতিক এ পতনের পেছনে বড় কারণ ছিল আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে গাড়ি, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামসহ বিভিন্ন পণ্য আগেভাগেই কিনে ফেলেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে দেশের ভেতরে ভোক্তা ব্যয় কিছুটা বেড়েছে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, এটাও হয়েছে মূলত শুল্কের কারণে ভবিষ্যতে দাম বাড়ার আশঙ্কায় আগাম কেনাকাটার ফল হিসেবে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন