জাপানে টানা ১৬ সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম – The Finance BD
 ঢাকা     শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

জাপানে টানা ১৬ সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম

  • ০৩/০৫/২০২৫

জাপানে সম্প্রতি চালের দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। টানা ১৬তম সপ্তাহের মতো খাদ্যশস্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। জাপানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপান সরকার জরুরি মজুদ থেকে বাজারে চাল ছাড়ার পরও দাম কমেনি। গত সপ্তাহে পণ্যটির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রতি পাঁচ কেজিতে ৩ ইয়েন বেড়ে গড়ে ৪ হাজার ২২০ ইয়েনে (২৯ ডলার ৩৮ সেন্ট) দাঁড়িয়েছে।খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতির কারণে চালের উচ্চমূল্যে ভোগান্তিতে থাকা জাপানি ভোক্তাদের জন্য গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার প্রশাসন সরকারি মজুদ থেকে চাল বাজারে ছাড়ে। এ কার্যক্রম জুলাই পর্যন্ত চলবে। এর পরও দাম না কমায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্কমুক্ত কোটার বাইরে বিদেশী চাল আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমদানির ওপর প্রচলিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।

রয়টার্সের এক জরিপ অনুযায়ী, কানেমাতসু, শিনমেইসহ তিনটি প্রধান চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ বছর কমপক্ষে ৪৫ হাজার টন চাল আমদানি করবে বলে জানিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ১ হাজার ৫০০ টন। ট্রেডিং হাউজ কানেমাতসু জানিয়েছে, তারা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০ হাজার টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করছে, যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ। এ চালের বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হবে। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানান, মূল্যবৃদ্ধি ও চালের ঘাটতি অব্যাহত থাকলে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আমদানি আরো বাড়ানো হতে পারে। শিনমেই নামের এক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ২০ হাজার টন চাল আমদানি করা হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাল ব্যবসায়ী জানান, তারা এ বছর চার-পাঁচ হাজার টন চাল আমদানি করতে পারেন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী, জাপান প্রতি বছর মাত্র এক লাখ টন চাল শুল্কমুক্ত ‘মিনিমাম অ্যাকসেস’ কোটার আওতায় আমদানি করতে পারে, যা মোট চাহিদার প্রায় ১ শতাংশ।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us