সুইডিশ গবেষণাঃ ২০২৪ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

সুইডিশ গবেষণাঃ ২০২৪ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি

  • ২৯/০৪/২০২৫

২০২৪ সালে বিশ্বের সামগ্রিক উৎপাদন বা জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশই ব্যয় হয়েছে সামরিক খাতে, যা ‘গ্লোবাল মিলিটারি বার্ডেন’ নামে পরিচিত। একই সময়ে, সরকারি ব্যয়ের মধ্যে সামরিক খাতের অংশ বেড়ে হয়েছে গড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। আর মাথাপিছু সামরিক ব্যয় হয়েছে ৩৩৪ ডলার।বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি যে বেশ অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা এখন প্রমাণিত। পরিস্থিতি বিবেচনায় সামরিক ব্যয় বাড়াচ্ছে দেশগুলো। ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক খাতে ব্যয় রেকর্ড মাত্রায় বেড়ে ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৬ সাল থেকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে গবেষণা করছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ ব্যয় ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের পর সামরিক খাতে গেল বছর সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে ক্ষমতাধর দেশগুলো। ২০২৪ সালে বিশ্বের সামগ্রিক উৎপাদন বা জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশই ব্যয় হয়েছে সামরিক খাতে, যা ‘গ্লোবাল মিলিটারি বার্ডেন’ নামে পরিচিত। একই সময়ে, সরকারি ব্যয়ের মধ্যে সামরিক খাতের অংশ বেড়ে হয়েছে গড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। আর মাথাপিছু সামরিক ব্যয় হয়েছে ৩৩৪ ডলার।

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো, বিশ্বের পাঁচটি ভৌগোলিক অঞ্চলেই এ ব্যয় বেড়েছে। তবে বিশ্বের মোট ব্যয়ের অর্ধেকই করেছে বিশ্ব মোড়ল দুই দেশ-যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু যুক্তরাষ্ট্রই খরচ করেছে ৯৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, যা বিশ্বের মোট ব্যয়ের ৩৭ শতাংশ। আর চীনের ব্যয় প্রায় ৩১ হাজার ৪০০ কোটি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়া খরচ করেছে আনুমানিক ১৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ৭ দশমিক ১ শতাংশ। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে থাকা জার্মানি ও ভারতের সামিরক ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ও ৮ হাজার ৬১০ কোটি ডলারে।

এছাড়া ইউক্রেনে যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে আমেরিকার থাকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় নজিরবিহীন সামরিক ব্যয় করেছে ইউরোপের অনেক দেশ। মহাদেশটিতে সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়ে বর্তমান পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে। ন্যাটো দেশগুলো মোট জিডিপির ২ শতাংশ বা তার বেশি সামরিক খাতে ব্যয় করেছে। তবে এই ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সিামরিক স্বাধীনতা বা সক্ষমতা বাড়ছে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে গেলো বছর মধ্যপ্রাচ্যেও সামরিক ব্যয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এর মধ্যে দখলদার ইসরায়েলের সামরিক খরচ ৬৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার, যা ১৯৬৭ সালের পর সর্বোচ্চ। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা সংকট ও বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই ব্যয় বৃদ্ধিকে বিশ্লেষকরা এক ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখছেন।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us