ভারতের সাউদার্ন ইন্ডিয়া মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কে. সেলভারাজু বলেন, ‘ভারতের মোট সুতা রপ্তানির প্রায় ৪৫ শতাংশই বাংলাদেশে হয়। আগে প্রতি মাসে ১০ কোটি কেজির বেশি সুতা রপ্তানি হতো। এখন তা কমে ৯ কোটি কেজির মতো হয়েছে।’
দেশীয় টেক্সটাইল মিল মালিকদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে, ভারতীয় টেক্সটাইল মিলগুলো বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা খোঁজার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি হওয়া সুতার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ, যা মূলত রঙিন ও বিশেষ ধরনের, স্থলবন্দর দিয়ে পাঠানো হয়। সম্প্রতি এক বৈঠকে ভারতীয় সুতা রপ্তানিকারকেরা বিকল্প পরিবহন পদ্ধতির বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন, যেমন জাহাজে করে কনটেইনার পাঠানো বা অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার। তারা বাংলাদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
কটন টেক্সটাইলস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক সিদ্ধার্থ রাজগোপাল বলেন, ‘সমুদ্রপথে কনটেইনারে পণ্য পাঠাতে সময় বেশি লাগে—এটাই সমস্যা। এখনও ভারতের ৭০ শতাংশ সুতা সমুদ্রপথেই বাংলাদেশে যায়। যারা আগে স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি করতেন, এখন তারাও সমুদ্রপথ ব্যবহার করবেন। কলকাতা থেকে ছোট ছোট জাহাজও যায়। সেগুলো দিয়ে পাঠানোর সুযোগ খুঁজে দেখা দরকার।’
সাউদার্ন ইন্ডিয়া মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কে. সেলভারাজু বলেন, ‘ভারতের মোট সুতা রপ্তানির প্রায় ৪৫ শতাংশই বাংলাদেশে হয়। আগে প্রতি মাসে ১০ কোটি কেজির বেশি সুতা রপ্তানি হতো। এখন তা কমে ৯ কোটি কেজির মতো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সুতার বড় বাজার ছিল চীন ও বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ভারত থেকে কম সুতা কিনছে। যদি বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ রপ্তানিও বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে সেই সুতা দেশের বাজারে চলে আসবে এবং দাম কমবে। এতে দেশের টেক্সটাইল খাতের পুরো শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ সেলভারাজু জানান, এখন উত্তর ভারতের টেক্সটাইল মিলগুলো স্থলবন্দর বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পুরো টেক্সটাইল স্পিনিং শিল্পই ক্ষতির মুখে পড়বে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন