চীনের বদলে ভারতে তৈরি হবে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রীত সব আইফোন – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন

চীনের বদলে ভারতে তৈরি হবে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রীত সব আইফোন

  • ২৬/০৪/২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া সব আইফোন ভারতে তৈরির পরিকল্পনা করছে অ্যাপল।যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া সব আইফোন ভারতে তৈরির পরিকল্পনা করছে অ্যাপল। এ পরিবর্তন আগামী বছর থেকেই শুরু হতে পারে বলে কোম্পানির এক সূত্রের বরাতে জানা গেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলা বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে অ্যাপল তাদের উৎপাদন চীন থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এ কারণে বিকল্প হিসেবে ভারতে উৎপাদন বাড়ানোর দিকে ঝুঁকছে টেক জায়ান্ট কোম্পানিটি।

সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এ পদক্ষেপ সরবরাহ চেইনে বৈচিত্র্য আনতে অ্যাপলের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের অংশ। তবে বিশ্লেষকদের মতে, উদ্যোগটি আগের তুলনায় অনেক দ্রুত ও বড় পরিসরে এগোচ্ছে, যা অনেক বিনিয়োগকারীর ধারণা থেকেও বেশি। তিনি আরো জানান, প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো ২০২৬ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে বিক্রি হওয়া ছয় কোটির বেশি আইফোন সম্পূর্ণভাবে ভারতে তৈরি করা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ লক্ষ্য পূরণে ভারতে আইফোন উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে অ্যাপলকে। প্রায় দুই দশক ধরে অ্যাপল চীনে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করে বিশ্বমানের উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। আর এ ব্যবস্থাই প্রতিষ্ঠানটিকে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তি জায়ান্টে পরিণত করেছে। বর্তমানে অ্যাপলের অধিকাংশ আইফোন চীনে তৈরি হয়। এখানে ফক্সকনের মতো তৃতীয় পক্ষের কারখানাগুলোর মাধ্যমে উৎপাদন পরিচালনা করা হয়। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চাপিয়ে দেয়া উচ্চ হারে শুল্কের কারণে চীন এখন এ পরিকল্পনার বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত এসেছে, তবুও অ্যাপল তাদের উৎপাদন অন্য দেশে সরিয়ে নিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছে একাধিক সূত্র। অ্যাপল সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারতে উৎপাদন ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়িয়েছে। এখানে টাটা ইলেকট্রনিকস ও ফক্সকনের মতো চুক্তিভিত্তিক প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবুও এখনো অধিকাংশ আইফোন চীনেই অ্যাসেম্বল করা হয়। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন তৈরির শেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো অ্যাসেম্বলি। এ পর্যায়ে এসে শত শত যন্ত্রাংশ একত্র করা হয়। আইফোন তৈরির এ ধাপ কিছুটা ভারতে সরানো হলেও, অ্যাপল এখনো এসব যন্ত্রাংশের জন্য চীনা সরবরাহকারীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসে চীন থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশের বেশি পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে স্মার্টফোনের জন্য সাময়িক ছাড় দেয়া হলেও, চীন থেকে আমদানীকৃত সব পণ্যের ওপর এখনো ২০ শতাংশ পৃথক শুল্ক বহাল রয়েছে। ভারতের ওপরও ২৬ শতাংশ ‘বেসিপ্রোকাল’ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, যদিও এটি আপাতত স্থগিত আছে।

 

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us