টার্লি বলেন, যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো গুগলকে তাদের ক্রোম ব্রাউজার বিক্রিতে বাধ্য করে, তাহলে ওপেনএআই সেটি কিনে নিতে আগ্রহী।গুগলের ওয়েব ব্রাউজার ক্রোম কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে ওপেনএআই। সংস্থাটির দাবি, গুগলের অনুসন্ধান বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙতে হলে বড় কোনো পরিবর্তন দরকার। সংস্থাটির পক্ষ থেকে চ্যাটজিপিটির প্রধান পণ্য কর্মকর্তা নিক টার্লি এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে চলমান গুগলের অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার শুনানিতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এ সময় টার্লি বলেন, যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো গুগলকে তাদের ক্রোম ব্রাউজার বিক্রিতে বাধ্য করে, তাহলে ওপেনএআই সেটি কিনে নিতে আগ্রহী। তাদের মতে, এর মাধ্যমে অনুসন্ধান ও এআই প্রযুক্তির বাজারে প্রকৃত প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এই অ্যান্টিট্রাস্ট মামলাটি মার্কিন বিচার বিভাগের দায়ের করা, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে—অনলাইন অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনে গুগল একচেটিয়া সুবিধা নিচ্ছে। বিচারক অমিত মেহতা এরই মধ্যে রায় দিয়েছেন, গুগল স্যামসাং, মটোরোলাসহ বিভিন্ন মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমন চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে গুগলের সার্চ অ্যাপ, ক্রোম ও জেমিনি এআই অ্যাপ নতুন ডিভাইসে ডিফল্ট হিসেবে থাকছে।
সরকারি আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, গুগলের এ আধিপত্য ভবিষ্যতে তাদের জেনারেটিভ এআই পণ্যগুলোকেও বাড়তি সুবিধা দেবে। ব্যবহারকারীদের জন্য এসব পণ্য গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশের বাড়তি পথ হয়ে উঠবে। গুগল অবশ্য দাবি করছে, মেটা ও মাইক্রোসফটের মতো সংস্থাগুলো এআই পণ্যে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা আরো বলছে, সাম্প্রতিক চুক্তিগুলো একচেটিয়া নয়। এছাড়া নির্মাতারা প্রতিদ্বন্দ্বী এআই পণ্য ইনস্টল করতেও স্বাধীন। একই দিনে টার্লি আরো জানান, ওপেনএআই একসময় গুগলের সঙ্গে চ্যাটজিপিটিতে গুগলের সার্চ এপিআই ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে গুগল সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ওপেনএআই জুলাই মাসে গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ইমেল বার্তায় গুগলকে জানানো হয়েছিল, একাধিক অংশীদারের মধ্যে গুগলের এপিআই ব্যবহার করলে ওপেনএআই আরো ভালো পণ্য দিতে পারবে। তবে আগস্টে গুগল সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। টার্লি বলেন, এখনো চ্যাটজিপিটি ৮০ শতাংশ অনুসন্ধান প্রশ্নের উত্তর নিজস্ব প্রযুক্তিতে দিতে পারে না। এ সক্ষমতায় পৌঁছাতে চ্যাটজিপিটির আরো কয়েক বছর লাগবে। উল্লেখ্য, এখন চ্যাটজিপিটি মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন বিং এর প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে নিক টার্লির মতে, প্রতিযোগিতায় ভারসাম্য আনতে হলে অনুসন্ধান ডেটা ভাগাভাগি করতে হবে। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত গুগলের ওপর কঠোর পদক্ষেপ নেয়া।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন