নৈতিক কারণে অস্ত্র খাতে বিনিয়োগের বিরুদ্ধে জার্মান ব্যাংক – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন

নৈতিক কারণে অস্ত্র খাতে বিনিয়োগের বিরুদ্ধে জার্মান ব্যাংক

  • ২৩/০৪/২০২৫

জার্মানির ব্যাংক খাতের একটি অংশ বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে অস্ত্র নির্মাতাদের অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে যেসব বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে ‘নৈতিকভাবে টেকসই’ হিসেবে প্রচার করা হয়, সে তালিকায় এসব কোম্পানিকে রাখতে তাদের আপত্তি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা শান্তির পক্ষে এবং যুদ্ধ বা সহিংসতাকে সমর্থন করে না। আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। ফলে রাইনমেটালের মতো অস্ত্র নির্মাতাদের ক্রয়াদেশ বেড়ে চলেছে। এতে কোম্পানিগুলো রেকর্ড মুনাফা অর্জন করছে।
চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জিএলএস ব্যাংক, কেডি ব্যাংকসহ আটটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা বিশ্বাস করে অস্ত্র খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তা নৈতিকভাবে টেকসই নয়।’
ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান হুমকির বাস্তবতা স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, যারা সচেতন থেকে নৈতিকভাবে টেকসই বিনিয়োগ করতে চান, তারা যেন নিশ্চিত থাকতে পারেন যে তাদের মূল্যবোধ লঙ্ঘিত হচ্ছে না। এ কারণেই আমরা বিশ্বের যেকোনো অস্ত্র কোম্পানিকে সীমাহীনভাবে টেকসই আর্থিক পণ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছি।
এ ব্যাংকগুলো নিজেদের খ্রিস্টীয়’বা নৈতিকবলে পরিচয় দেয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা বলছে, জার্মান ব্যাংক খাত অস্ত্র নির্মাতাদের টেকসই বিনিয়োগে অন্তর্ভুক্ত করার বিধিনিষেধ শিথিল করার পর তারা অবস্থান স্পষ্ট করতে বাধ্য হয়েছে। নতুন নীতিতে প্রতিরক্ষা ও অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এ আট ব্যাংক জানিয়েছে, তারা বিনিয়োগ পোর্টফোলিও থেকে সেসব কোম্পানিকে বাদ রাখে, যাদের ৩-৫ শতাংশের বেশি আয়ের উৎস অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিকাশ, উৎপাদন ও বিক্রি।
ভবিষ্যতে এ নীতিতে অটল থাকার অঙ্গীকার জানিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, আমরা আর্থিক পণ্যে টেকসই মানকে দুর্বল করতে চাই না। অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ব্যবহার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে কোনো ইতিবাচক অবদান রাখে না, বরং তা জীবন, নাগরিক সমাজ, পরিবেশ ও অবকাঠামো ধ্বংস করে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us