এমন এক সময়ে যখন বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র শুল্কের অপব্যবহার করছে ও অর্থনৈতিক বিশ্বায়নকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, তখন ‘উন্মুক্ত সুযোগ ভাগ করা ও একসাথে একটি উন্নত জীবন সৃষ্টি করা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে, চীন আন্তর্জাতিক ভোক্তাপণ্য মেলা তথা হাইনান মেলা ১৩ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত আয়োজিত হয়। বিশ্বের ৭১ দেশ ও অঞ্চলের ১৭৬৭টি প্রতিষ্ঠানের ৪২০৯টি ব্রান্ড এবারের ছয় দিনের মেলায় অংশগ্রহণ করে। মেলাতে ৯২ বিলিয়ন ইউয়ান আরএমবি’র সহযোগিতা-চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী দেশ ও ব্রান্ডের সংখ্যা এবং প্রভাবের দিক থেকে সৃষ্টি হয়েছে নতুন রেকর্ড।
পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালে চীনে ভোগ্যপণ্যের মোট খুচরা বিক্রয় ছিল ৪৮.৮ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৫ শতাংশ বেশি। চীন টানা দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার ও বৃহত্তম অনলাইন খুচরা বাজার হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের ভোগবাজার স্থিতিশীলভাবে উন্নত হয়। এ সময় ভোগ্যপণ্যের মোট খুচরা বিক্রয় গত বছরের তুলনায় ৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যা গত বছরের তুলনায় ১.১ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। চীনে নতুন মানের উত্পাদনশীলতা উন্নয়নের পাশাপাশি, ভোগবাজার আপগ্রেড হচ্ছে। এতে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগে আকৃষ্টি হচ্ছে। চলতি বছর হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দর, যা কনজিউমার গুডস এক্সপোর স্থান, বন্ধ থাকবে ও এর সম্প্রসারণ ঘটবে। এটি হাইনানে আরও উচ্চমানের পণ্য নিয়ে আসবে এবং হাইনানে বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের সীমা বাড়াবে। ল’ওরিয়ালের উত্তর এশিয়ার চেয়ারম্যান ও চীনের সিইও ভিনসেন্ট বোইনে বলেছেন, চীনের উচ্চমানের উন্নয়ন ও উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণ বিদেশী বিনিয়োগের জন্য ব্যাপক সুযোগ এনেছে এবং হাইনান এর একটি প্রাণবন্ত উদাহরণ। চীন নিজের কর্মের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি পূরণ করে চলেছে: উন্মুক্ততার দরজা আরও বিস্তৃত করছে। বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগ ও ভবিষ্যত কোথায়, তা স্পষ্ট।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন