চীনের ক্ষতি করে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চাওয়া দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি বেইজিংয়ের – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

চীনের ক্ষতি করে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চাওয়া দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি বেইজিংয়ের

  • ২২/০৪/২০২৫

বেইজিং জানায়, কোনো দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন বাণিজ্য চুক্তি করে যাতে চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববাণিজ্যের দুই মহারথী চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ। এ অবস্থায়, যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে কোনো দেশ যদি এমন কোনো চুক্তি করে, যা চীনের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তাহলে সেই দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বেইজিং। আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি। বেইজিং জানায়, কোনো দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন বাণিজ্য চুক্তি করে যাতে চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে, বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিন চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে সব দেশের বাণিজ্যগত মতপার্থক্য সমাধানের অধিকারকে সম্মান করে চীন। কিন্তু কেউ যদি চীনের ক্ষতির বিনিময়ে সুবিধা নিতে চায়, তাহলে চীন ‘দৃঢ় ও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ’ গ্রহণ করবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ‘চাপে চুক্তির’ পরিকল্পনা
এদিকে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন বেশ কয়েকটি দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে— যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘শুল্ক ছাড়’ পেতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য কমিয়ে দেয়। এমনকী এসব দেশকে ‘আর্থিক নিষেধাজ্ঞার’ হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করে, “যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত ‘সমতার’ নীতির আড়ালে সব বাণিজ্য অংশীদারের ওপর একতরফা শুল্ক আরোপ করছে, এবং জোর করে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আলোচনা শুরু করাতে চাইছে।” চীন জানিয়েছে, “নিজেদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় তারা সক্ষম ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি তারা আন্তর্জাতিক সংহতি ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে।”
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘চীন-বিরোধী ছাড়পত্র’
চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, প্রায় ৫০টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আরোপিত শুল্ক বিষয়ে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছে। এরপর একাধিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: জাপান যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন ও চাল আমদানি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে এবং ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে খাদ্য ও পণ্য আমদানি বাড়িয়ে অন্য দেশের অর্ডার কমানোর পরিকল্পনা করছে। ট্রাম্প ২ এপ্রিল এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেও চীনের ওপর তা বজায় রেখেছেন। এদিকে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালাচ্ছে বেইজিং। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইতোমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশ সফর করেছেন আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করতে। ভিয়েতনামের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে শি বলেন, “বাণিজ্য যুদ্ধ এবং শুল্ক যুদ্ধের কোনো বিজয়ী নেই।” যদিও তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us