শুল্কের কারণে চীনে গাড়ি সরবরাহ স্থগিত করেছে ফোর্ড – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

শুল্কের কারণে চীনে গাড়ি সরবরাহ স্থগিত করেছে ফোর্ড

  • ২০/০৪/২০২৫

শুল্ক বৃদ্ধির জেরে চীনে এসইউভি, পিক-আপ ট্রাক ও স্পোর্টস কার রফতানি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড মোটর কোম্পানি।শুল্ক বৃদ্ধির জেরে চীনে এসইউভি, পিক-আপ ট্রাক ও স্পোর্টস কার রফতানি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড মোটর কোম্পানি। ১৮ এপ্রিল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স।

ফোর্ড জানায়, চীনের পাল্টা ব্যবস্থামূলক শুল্কের আওতায় আমদানি গাড়ির ওপর সর্বোচ্চ ১৫০ শতাংশ কর আরোপের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমান শুল্ক কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে রফতানির ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তারা আরো জানিয়েছে, কোম্পানিটি গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে তৈরি ব্রঙ্কো এসইউভি, এফ-১৫০ র‍্যাপ্টর, মাসট্যাং ও কেনটাকিতে তৈরি লিঙ্কন নেভিগেটরের চালান চীনে পাঠানো বন্ধ করেছে। সিদ্ধান্তটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের অনিয়মিত শুল্কনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্প চাপে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে গাড়ি নির্মাতা ও যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের ওপর বড় ধরনের আর্থিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম এ স্থগিতাদেশের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে ফোর্ড এখনো যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন চীনে রফতানি করছে। পাশাপাশি উচ্চ শুল্ক থাকা সত্ত্বেও চীনে নির্মিত লিঙ্কন নটিলাস মডেলের সরবরাহও অব্যাহত রয়েছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া গাড়ির প্রায় ৮০ শতাংশই দেশে তৈরি হয়। ফলে এ পরিস্থিতিতে তারা তুলনামূলকভাবে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ এক মেমোতে ফোর্ড তাদের ডিলারদের সতর্ক করেছে যে যদি শুল্ক কার্যকর থাকে, তাহলে নতুন গাড়ির দাম বাড়তে পারে। চলতি মাসের শুরুতে সেন্টার ফর অটোমোটিভ রিসার্চের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের কারণে ২০২৫ সালের মধ্যে গাড়ি প্রস্তুতকারকদের অতিরিক্ত ১০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ব্যয় বহন করতে হতে পারে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘‌তিনি অটোমোবাইল খাতে বিদ্যমান শুল্ক পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করছেন ও কিছু শুল্কে ছাড় দেয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’

 

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us