টিকটকের উত্থান মেটা বা ফেসবুকের ব্যবসার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছিল। ২০১৮ সালে টিকটক বাজারে আসার পর প্লাটফর্মটি কোম্পানির জন্য একটি বড় প্রতিযোগিতামূলক হুমকিতে পরিণত হয় বলে দাবি করেছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে চলমান অ্যান্টিট্রাস্ট মামলায় গত সপ্তাহে আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। খবর টেকক্রাঞ্চ।
জাকারবার্গ বলেন, ‘টিকটকের আগমন মেটার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। টিকটক জনপ্রিয় হওয়ার পর মেটার ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় ও ধীর হতে থাকে।’ তিনি আরো জানান, বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপটি কয়েক বছর ধরেই মেটার প্রতিযোগিতামূলক কৌশলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। প্রতিবেদন বলছে, ২০১৭ সালে বাইটড্যান্স মিউজিক্যাল.লি অ্যাপটি কিনে নেয় ও পরের বছর একে টিকটকের সঙ্গে একীভূত করে। এরই কাছাকাছি সময় মেটা (ওই সময়ের ফেসবুক) নিজেদের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করে দেয়। এর বদলে তারা ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপসহ সব অ্যাপ মিলিয়ে একটি নতুন ‘ফ্যামিলি অব অ্যাপস’ ধারণা চালু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মেটার মূল অ্যাপ ফেসবুকের ধীরগতির প্রবৃদ্ধি আড়াল করা। মামলার শুনানিতে গত সপ্তাহে ‘নেটওয়ার্ক ইফেক্টস’ বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধু ও পরিবারের সংযোগের প্রভাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্ক জাকারবার্গ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আগে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো জনপ্রিয় হতো বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার সুবিধার ওপর ভরসা করে। এখন তা করতে হয় না, কারণ কোম্পানিগুলো অন্য উপায়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।’
মেটার প্রধান ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে একচেটিয়া বাজার দখলের মামলায় বিচারকাজ শুরু হয়েছে গত সপ্তাহ থেকে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)। অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে এগিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য মেটা একচেটিয়া প্রভাব খাটিয়েছে। এর পর থেকেই নতুন করে আলোচনায় আসছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা ও মার্ক জাকারবার্গ।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন