আইজিসির প্রতিবেদনঃ ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষে বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদন হবে ২৩৭.৩০ কোটি টন – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

আইজিসির প্রতিবেদনঃ ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষে বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদন হবে ২৩৭.৩০ কোটি টন

  • ২০/০৪/২০২৫

বিশ্বব্যাপী ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষে (জুলাই-জুন) মোট শস্য (গম, চাল ও অন্যান্য দানাদার শস্য) উৎপাদন বাড়তে পারে ৩ শতাংশ। এ সময় মোট উৎপাদন পৌঁছতে পারে ২৩৭ কোটি ৩০ লাখ টনে। সদ্য প্রকাশিত ‘গ্রেইন মার্কেট রিপোর্ট’-এর এপ্রিল ২০২৫ শীর্ষক সংস্করণে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি)। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডট কম।
আইজিসির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষে রেকর্ড ভুট্টা উৎপাদন বিশ্বব্যাপী মোট শস্য উৎপাদন বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখবে। এ সময় খাদ্যশস্যটির মোট উৎপাদন পৌঁছতে পারে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টনে, যা ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। যদিও এ সময় গম ও চাল উৎপাদন পূর্বাভাস গত মাসের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষে সরবরাহ ও ভোগের ভারসাম্য থাকার কারণে বৈশ্বিক শস্য মজুদ আগের বছরের তুলনায় স্থিতিশীল থাকবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দানাদার শস্যের মজুদ এ সময় কিছুটা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে গমের মজুদ টানা তৃতীয় বছরের মতো কমে যেতে পারে। এছাড়া আগামী বিপণন বর্ষে বিশ্বব্যাপী শস্যের আমদানি-রফতানি ৪২ কোটি ৪০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। এদিকে রেকর্ড সরবরাহের প্রেক্ষাপটে আইজিসি জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে বিশ্বব্যাপী সয়াবিনের ব্যবহার ও মজুদ সর্বোচ্চে পৌঁছতে পারে। এ সময় আমদানি-রফতানি কিছুটা বেড়ে ১৮ কোটি ১০ লাখ টনে পৌঁছবে।
২০২৫-২৬ বর্ষের জন্য বৈশ্বিক সয়াবিন উৎপাদনের পূর্বাভাস রেকর্ড ৪২ কোটি ৮০ লাখ টন, যেখানে দক্ষিণ আমেরিকার বড় উৎপাদন এ প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি বলে মনে করা হচ্ছে। আইজিসি জানায়, ‘পশুখাদ্য, খাদ্য ও শিল্প খাতে চাহিদা বাড়ায় সয়াবিন ব্যবহার আরো বাড়বে। তবে এ সময় মজুদও ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে। এ সময় বিশ্বব্যাপী আমদানির চাহিদা স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ চীনের আমদানি কমে গেলেও অপেক্ষাকৃত ছোট বাজারগুলোয় সরবরাহ বাড়বে।’
প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, চালের ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষে খাদ্যশস্যটির উৎপাদন আগের বিপণন বর্ষের তুলনায় ৩০ লাখ টন বেড়ে ৫৪ কোটি টনে পৌঁছতে পারে। একই সঙ্গে বাণিজ্য, ব্যবহার ও মজুদেও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আইজিসির শস্য ও তেলবীজ মূল্যসূচক মার্চের প্রতিবেদনের তুলনায় ১ শতাংশ বেড়েছে। কারণ ভুট্টা ও সয়াবিনের রফতানি মূল্য বাড়লেও চাল, গম ও যবের উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে। যদিও এপ্রিলে বছর ভিত্তিতে মূল্যসূচক কমেছে ২ শতাংশ।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us