ভারতের উদ্ভিজ্জ তেলের মজুদ বর্তমানে তিন বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কারণ মার্চে টানা চার মাস ধরে পাম অয়েলের আমদানি গড়ের চেয়ে কম ছিল বলে জানিয়েছে শীর্ষস্থানীয় একটি বাণিজ্য সংস্থা। মজুদের এ নিম্নগামিতা বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ভিজ্জ তেল আমদানিকারক দেশটিকে আগামীতে পাম ও সয়াবিন তেল আমদানি বাড়াতে বাধ্য করতে পারে, যা মালয়েশিয়ার পাম অয়েল ও মার্কিন সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতে উদ্ভিজ্জ তেলের মজুদ এক মাস আগের তুলনায় ১১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১৬ লাখ ৭০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন। মার্চে পাম অয়েলের আমদানি আগের মাসের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে আমদানির পরিমাণ বেড়ে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৯ টনে দাঁড়িয়েছে।
২০২৪ সালের অক্টোবরে শেষ হওয়া বিপণন বর্ষে ভারত প্রতি মাসে গড়ে ৭ লাখ ৫০ হাজার টনেরও বেশি পাম অয়েল আমদানি করেছে। এর মধ্যে অক্টোবরে শেষ হওয়া বিপণন বর্ষের প্রথম পাঁচ মাসে ভারতের মোট উদ্ভিজ্জ তেল আমদানিতে পাম অয়েলের অংশ ৬১ থেকে কমে ৪৩ শতাংশ হয়েছে। যেখানে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের সম্মিলিত আমদানি ৩৯ থেকে বেড়ে ৫৭ শতাংশ হয়েছে। ডিলাররা বলছেন, গত কয়েক মাসে পাম অয়েলের দাম সয়াবিন তেলের তুলনায় বেশি হওয়ায় ভারতীয় ক্রেতারা পাম অয়েল কম কিনে সয়াবিন তেল বেশি কিনছেন। ফলে মার্চে সয়াবিন তেলের আমদানি ২৫ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৮ টনে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সূর্যমুখী তেলের আমদানি প্রায় ১৬ শতাংশ কমে ১ লাখ ৯০ হাজার ৬৪৫ টনে দাঁড়িয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এসইএর বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দেশটির মোট উদ্ভিজ্জ তেল আমদানি ১১ শতাংশ বেড়ে ৯৯ হাজার ৮৩৪ কোটি টনে দাঁড়িয়েছে। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী জিজিএন রিসার্চের ব্যবস্থাপনা অংশীদার রাজেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, এপ্রিলে দেশের আমদানি সামান্য বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ মাসটিতে পাম অয়েল ও সূর্যমুখী তেলের ক্রয় বাড়বে। ভারত মূলত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল কিনে থাকে। অন্যদিকে তারা আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে সয়াবিন তেল ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করে।
খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন