ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারের জন্য অতিরিক্ত ২৪ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০১:০০ পূর্বাহ্ন

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারের জন্য অতিরিক্ত ২৪ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ

  • ১৩/০৪/২০২৫

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারের সহায়তায় জাতিসংঘের আরো ২৪ কোটি ডলার প্রয়োজন। সংস্থাটির সংশোধিত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে দেশটির প্রায় ২০ লাখ মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা দিতে হবে। খবর ইউএন নিউজ ও আল জাজিরা।
গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে ৩ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি নিহত ও ৪ হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ১৮৪ জন। এ দুর্যোগে ৫৮টি শহরতলির ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতাল ও স্কুলসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মানবিক সংকটে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের লোকদের সাহায্যের জন্য অতিরিক্ত ২৪ কোটি ১৬ লাখ ডলারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। পাশাপাশি ২০২৫ সালের মিয়ানমারের মানবিক চাহিদা এবং সহায়তা পরিকল্পনা থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারও বরাদ্দ করা হয়েছে। সংশোধিত পরিকল্পনায় প্রায় ২০ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নতুন করে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশটিতে ভূমিকম্পের আগেই মানবিক সংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ ৩০ হাজার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী ও বিরোধী মিলিশিয়াদের মধ্যে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। এর পর থেকেই দেশটির প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানবিক সংকটে ছিল। ভয়াবহ ভূমিকম্প ও মানবিক সংকটের কারণে ২ এপ্রিল যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এ যুদ্ধবিরতি চলার কথা রয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। ভূমিকম্পের পর বিধ্বস্ত এলাকায় সেনাবাহিনী অন্তত ১২০টি হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র রাভিনা শামাদাসানি।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মিয়ানমারে সামরিক অভিযান বন্ধ করে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে অবাধে মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বিধ্বস্ত এলাকায় হামলার ব্যাপারে রাভিনা শামাদাসানি বলেন,”‘জনবহুল এলাকায় অসংখ্য হামলার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে অনেক নির্বিচারে আক্রমণ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের আনুপাতিকতার নীতি লঙ্ঘন বলে মনে হচ্ছে।’ ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে রাভিনা শামাদাসানি সেনাবাহিনীকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আটককৃতদের জন্য পূর্ণ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন। যার মধ্যে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টও রয়েছেন।
সামরিক সরকারের সমালোচনার মধ্যে চীন জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ ও প্রিফ্যাব্রিকেট করা ঘর সরবরাহের জন্য ১০০ কোটি ইউয়ান (১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার) জরুরি মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে। মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে সমর্থনকারী চীন ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে ৩০টিরও বেশি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে চীনা রেড ক্রসের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ ইউয়ান নগদ অর্থ প্রদান করেছে।প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের লোকদের সাহায্যের জন্য অতিরিক্ত ২৪ কোটি ১৬ লাখ ডলারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। পাশাপাশি ২০২৫ সালের মিয়ানমারের মানবিক চাহিদা এবং সহায়তা পরিকল্পনা থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারও বরাদ্দ করা হয়েছে। সংশোধিত পরিকল্পনায় প্রায় ২০ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নতুন করে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশটিতে ভূমিকম্পের আগেই মানবিক সংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ ৩০ হাজার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী ও বিরোধী মিলিশিয়াদের মধ্যে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। এর পর থেকেই দেশটির প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানবিক সংকটে ছিল। ভয়াবহ ভূমিকম্প ও মানবিক সংকটের কারণে ২ এপ্রিল যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এ যুদ্ধবিরতি চলার কথা রয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। ভূমিকম্পের পর বিধ্বস্ত এলাকায় সেনাবাহিনী অন্তত ১২০টি হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র রাভিনা শামাদাসানি।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মিয়ানমারে সামরিক অভিযান বন্ধ করে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে অবাধে মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। বিধ্বস্ত এলাকায় হামলার ব্যাপারে রাভিনা শামাদাসানি বলেন,”‘জনবহুল এলাকায় অসংখ্য হামলার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে অনেক নির্বিচারে আক্রমণ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের আনুপাতিকতার নীতি লঙ্ঘন বলে মনে হচ্ছে।’
ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে রাভিনা শামাদাসানি সেনাবাহিনীকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আটককৃতদের জন্য পূর্ণ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন। যার মধ্যে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টও রয়েছেন। সামরিক সরকারের সমালোচনার মধ্যে চীন জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ ও প্রিফ্যাব্রিকেট করা ঘর সরবরাহের জন্য ১০০ কোটি ইউয়ান (১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার) জরুরি মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে। মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে সমর্থনকারী চীন ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে ৩০টিরও বেশি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে চীনা রেড ক্রসের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ ইউয়ান নগদ অর্থ প্রদান করেছে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us