মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করল চীন – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন

মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করল চীন

  • ১২/০৪/২০২৫

চীনা পণ্যে চড়া শুল্ক আরোপ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার পাল্টা জবাব দিতে নতুন করে মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছে চীন। সবশেষ চীনের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যার জবাবে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চীনের অর্থমন্ত্রী নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। আজ শুক্রবার সব মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছে বেইজিং।
দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, শনিবার থেকেই কার্যকর হবে নতুন এই শুল্কহার। জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন কয়েক দফায় মোট ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীনা পণ্যের ওপর। প্রথম মেয়াদের ট্রাম্প প্রশাসন ও বাইডেন প্রশাসনও বিভিন্ন চীনা পণ্যের ওপর বিভিন্ন মাত্রার শুল্ক আরোপ করেছে। তবে বেইজিং জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের আগ্রাসী শুল্কের জবাবে আর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে না তারা।
শুক্রবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদের অধীনস্থ কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন এক বিবৃতিতে বলে, এই শুল্কহারে চীনা বাজারে মার্কিন পণ্যের আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। এরপর যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরও শুল্ক আরোপ করলে চীন তা পুরোপুরি উপেক্ষা করবে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, বেইজিং তার স্বার্থ, বৈধ অধিকারের জন্য লড়াই করে যাবে। এবং বহুপক্ষীয় বাণিজ্যব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা অটুট রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রের এভাবে শুল্ক আরোপ করাটা একতরফা দমন ও জবরদস্তিমূলক আচরণের উদাহরণ। এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মের লঙ্ঘন।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধ নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করেছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে এখন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে, ২০২৪ সালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৫৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছিল। চলমান শুল্কযুদ্ধের কারণে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাণিজ্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে বুধবার জানিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us