তিনি যোগ করেন, বর্তমানে বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক জরিপের ফলাফল এরইমধ্যে মন্দার স্তরে নেমে এসেছে—যা ২০০৮ সালের ‘গ্রেট রিসেশন’-এর সময়কার থেকেও খারাপ। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ব্যাংকগুলোর অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতিগুলো কার্যকর হলে মারাত্মক অর্থনৈতিক মন্দার দিকে এগিয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। গত পাঁচ দিন ধরে ওয়াল স্ট্রিটে যেভাবে শেয়ারবাজারে পতন দেখা গেছে তাতে স্পষ্ট, ট্রাম্পের এই নীতিগুলো উচ্চ মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নাটকীয়ভাবে কমিয়ে দিচ্ছে। রিসেশান ট্র্যাকার অনুসারে খবরটি দিয়েছে ফোর্বস।
গোল্ডম্যান স্যাক্স রোববার (৬ এপ্রিল) তাদের ক্লায়েন্টদের উদ্দেশে প্রকাশিত এক হতাশাব্যঞ্জক নোটে জানিয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা এখন ৪৫%—যেখানে গত মার্চের শেষ দিকে এই হার ছিল মাত্র ২০%। তারা সতর্ক করেছে, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুল্ক ইস্যুতে কোনো ধরনের ছাড় না দেন, তাহলে তাদের মূলধারার পূর্বাভাস অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মন্দায় ঢুকে পড়বে।
গোল্ডম্যান স্যাক্স রোববার (৬ এপ্রিল) তাদের ক্লায়েন্টদের উদ্দেশে প্রকাশিত এক হতাশাব্যঞ্জক নোটে জানিয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা এখন ৪৫%—যেখানে গত মার্চের শেষ দিকে এই হার ছিল মাত্র ২০%। তারা সতর্ক করেছে, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুল্ক ইস্যুতে কোনো ধরনের ছাড় না দেন, তাহলে তাদের মূলধারার পূর্বাভাস অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মন্দায় ঢুকে পড়বে।
এর চেয়েও কঠোর ভাষায় মন্তব্য করেছে জেপি মরগ্যান। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তারা মন্দার সম্ভাবনা ৬০% ধরে নিচ্ছে। ব্যাংকটি ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে ‘১৯৬৮ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় কর বৃদ্ধির সমান’ বলে অভিহিত করে বলেছে, এই কর বৃদ্ধির প্রধান বোঝা গিয়ে পড়বে সাধারণ মার্কিন ভোক্তাদের ওপর।
ইউবিএস ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ আরেন্ড কাপটেইন বলেন, সবকিছু যেভাবে ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্টের (আইইইপিএ) আওতায় একতরফাভাবে হচ্ছে, তাতে অনিশ্চয়তা আরো বাড়ছে। তিনি যোগ করেন, বর্তমানে বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক জরিপের ফলাফল এরইমধ্যে মন্দার স্তরে নেমে এসেছে—যা ২০০৮ সালের ‘গ্রেট রিসেশন’-এর সময়কার থেকেও খারাপ। ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিগুলো নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ বাড়ছে দেশটির বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মহলে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউসিএলএ অ্যান্ডারসন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট গত মাসে তাদের ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি আনুষ্ঠানিক ‘রিসেশন ওয়াচ’ জারি করেছে।
অর্থনীতিবিদ ক্লেমেন্ট বোহর তার মূল্যায়নে কঠোর ভাষায় লিখেছেন, এই রিসেশন ওয়াচ হলো ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি সতর্কবার্তা— আপনি যা যা চান সবকিছু যদি সত্যিই বাস্তবে ঘটে, তাহলে আপনি নিজেই হতে পারেন একটি ভয়াবহ মন্দার রচয়িতা। তবে সব অর্থনীতিবিদ একমত যে, এই মন্দা এখনো এড়ানো সম্ভব। ক্লেমেন্ট বোহর বলেন, এই মন্দা পুরোপুরি এড়ানো যেত যদি ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতিগুলো, বিশেষ করে বিগত প্রায় এক শতকের মধ্যে সবচেয়ে কড়া শুল্ক এবং ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডোজ) মাধ্যমে সরকারি খাতকে দুর্বল করার পদক্ষেপগুলো একটু ধীরে এবং বিবেচনার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হতো।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন