পেঙ্গুইন ও সীলের নির্জন দ্বীপে শুল্ক আরোপে অনড় যুক্তরাষ্ট্র – The Finance BD
 ঢাকা     সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন

পেঙ্গুইন ও সীলের নির্জন দ্বীপে শুল্ক আরোপে অনড় যুক্তরাষ্ট্র

  • ০৮/০৪/২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক দেশটির সংবাদমাধ্যম সিবিএস-কে বলেন, এই শুল্ক ‘অযৌক্তিক ফাঁকফোকর’ বন্ধের জন্য প্রয়োজন ছিল। তার মতে, যেসব দেশ আমেরিকার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তাদের অনেকেই এসব অঞ্চল ব্যবহার করে পণ্য পাঠানোর ফাঁক খুঁজে নেয়।
পেঙ্গুইন ও সীল ছাড়া যেখানে আর কোনো প্রাণীর বাস নেই, সেই নির্জন দ্বীপেও শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী ‘যুক্তিহীন ফাঁকফোকর বন্ধের’ উদ্যোগ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির আওতায় অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। দ্বীপ দুটির অবস্থান অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে, যেখানে কেবলমাত্র পেঙ্গুইন আর সীল বাস করে। সেখানে কোনো স্থায়ী মানববসতি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক দেশটির সংবাদমাধ্যম সিবিএস-কে বলেন, এই শুল্ক ‘অযৌক্তিক ফাঁকফোকর’ বন্ধের জন্য প্রয়োজন ছিল। তার মতে, যেসব দেশ আমেরিকার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তাদের অনেকেই এসব অঞ্চল ব্যবহার করে পণ্য পাঠানোর ফাঁক খুঁজে নেয়। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি তালিকা থেকে কিছু বাদ দেন, তাহলে বাকি দেশগুলো সেই ফাঁক গলে আমেরিকায় ঢুকে পড়ে।’
এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ডন ফ্যারেল বলেন, এটি ‘স্পষ্টতই একটি ভুল’ এবং পুরো প্রক্রিয়াই ছিল ‘তাড়াহুড়ো করে সম্পন্ন করা’। এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে তুমুল বিতর্ক চলছে। শুক্রবার মার্কিন বাজারে তিনটি প্রধান স্টক সূচকই একসঙ্গে ৫ শতাংশের বেশি পতন দেখে, যা ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ দরপতন। বিশ্ব বাণিজ্যে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ নামে পরিচিত পদ্ধতিতে একটি দেশের পণ্য অন্য একটি বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পাঠানো হয়। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা ‘পিউ চ্যারিটেবল ট্রাস্টস’ বলছে, এই পদ্ধতি অনেক সময় তথ্য গোপন বা বিকৃত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। তাদের হিসেবে, প্রতি বছর পশ্চিম ও মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে কয়েকশ মিলিয়ন ডলারের টুনা মাছ ও অনুরূপ সামুদ্রিক প্রাণী অবৈধভাবে সরানো হয়। তবে হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা পণ্যের পরিমাণ খুবই সামান্য। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপপুঞ্জ থেকে সামান্য কিছু পণ্যই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে। ২০২২ সালে এই রপ্তানি সর্বোচ্চে পৌঁছায়—যার মূল্য ছিল প্রায় ১৪ লাখ মার্কিন ডলার। এসব পণ্যের প্রায় সবই ছিল ‘যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী’। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক তালিকায় ব্রিটিশ ভারত মহাসাগরীয় এলাকাও রয়েছে, যেখানে শুধু সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করে এবং সেখানে প্রবেশের জন্য বিশেষ অনুমতি লাগে। ২০২২ সালে অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখ ১৪ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us