সমুদ্র ও জ্বালানিখাতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি ওয়াশিংটনের – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

সমুদ্র ও জ্বালানিখাতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি ওয়াশিংটনের

  • ২৬/০৩/২০২৫

কিয়েভ ও মস্কো উভয়ই বলেছে যে তারা চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে ওয়াশিংটনের ওপর নির্ভর করবে।
সমুদ্র ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা বন্ধে গত মঙ্গলবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে পৃথক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তির বিনিময়ে ওয়াশিংটন রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কৃষ্ণ সাগরের সামুদ্রিক নিরাপত্তা চুক্তিগুলো কবে বা কীভাবে কার্যকর হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পরই যুদ্ধরত ওই দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা আনা অন্যতম লক্ষ্য ছিল। চুক্তিগুলো ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম চুক্তি। ট্রাম্প ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান এবং মস্কোর সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পক্ষে কাজ করছেন। তবে তার এ কাজ কিয়েভ এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার চুক্তিটি ইউক্রেনের সঙ্গে করা চুক্তির চেয়ে আরও বিস্তৃত। এখানে ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সহায়তা করতে সম্মত হয়েছে, বিশেষ করে রাশিয়ার কৃষি ও সার রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরাবে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞা সরানোর দাবি মস্কোর দীর্ঘদিনের ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই ক্রেমলিন জানায়, কিছু রুশ ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ পুনরায় স্থাপন না হলে কৃষ্ণসাগরের চুক্তিগুলো কার্যকর হবে না। ক্রেমলিনের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তিনি বুঝতে পারছেন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে কোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রয়োজন নেই। সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবেই কার্যকর হবে। তিনি ক্রেমলিনের বক্তব্যকে ‘প্রভাবিত করার চেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
রাতে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “তারা ইতোমধ্যেই চুক্তিগুলোকে বিকৃত করার এবং প্রকৃতপক্ষে আমাদের মধ্যস্থতাকারী ও পুরো বিশ্বকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে।” কিয়েভ ও মস্কো উভয়ই বলেছে যে তারা চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে ওয়াশিংটনের ওপর নির্ভর করবে। তারপরও উভয় পক্ষ একে অপরের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, “আমাদের স্পষ্ট নিশ্চয়তা দরকার। কিয়েভের সঙ্গে চুক্তির দুঃখজনক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় কেবল ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকেই জেলেনস্কি ও তার দলের জন্য নির্দেশনা আসা উচিত। সেখানে তাদের বলে দেওয়া উচিত কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না।” জেলেনস্কি বলেন, যদি রাশিয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে তিনি ট্রাম্পকে মস্কোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং ইউক্রেনের জন্য আরও অস্ত্র সরবরাহ করতে বলবেন। তিনি বলেন, “রাশিয়ানদের ওপর কোনো বিশ্বাস নেই, তবে আমরা গঠনমূলক থাকব।” তবে এসব ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই দেশের পক্ষ থেকে ড্রোন হামলার অভিযোগ এসেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কৃষ্ণ সাগর বা জ্বালানি স্থাপনার ওপর কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন যে রাশিয়া যুদ্ধের অবসান বিলম্বিত করার চেষ্টা করতে পারে। ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি রাশিয়া এটি শেষ করতে চায়, তবে হতে পারে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নিচ্ছে। আমি নিজেও এটা বছরের পর বছর ধরে করেছি।”

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us