অর্থনৈতিক বিষয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আলোচনা এগিয়ে নিতে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন জাপান ও চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার পাশাপাশি বিভিন্ন অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে টোকিও। শনিবার টোকিওতে, দুই দেশের মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ছয় বছরের মধ্যে এই ধরনের প্রথম বৈঠক এবং এতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াইয়া তাকেশি এবং তার চীনা প্রতিপক্ষ ওয়াং ই-র পাশাপাশি উভয় সরকারের ঊর্ধ্বতন অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষ কার্বনমুক্তকরণের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি খাতের সহযোগিতার প্রসারে সম্মত হয়েছে। তারা ওসাকায় আসন্ন ওয়ার্ল্ড এক্সপো বা বিশ্ব প্রদর্শনীর মাধ্যমে নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়ের পাশাপাশি অন্যান্য আদান-প্রদানের প্রতিও তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। এর পাশাপাশি, যত দ্রুত সম্ভব জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানি পুনরায় শুরু করার জন্য চীনের প্রতি আবারো অনুরোধ জানিয়েছে জাপান। ২০২৩ সালের আগস্টে ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনা কোম্পানি, কেন্দ্রটি থেকে পরিশোধিত এবং পাতলা করে নেয়া পানি সমুদ্রে ছাড়া শুরু করার পর এই আমদানি স্থগিত করেছিল চীন। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সির ভাষ্যানুযায়ী, জাপানের এই পানি ছাড়ার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। (Source: NHK WORLD JAPAN)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন