পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টনপ্রতি ন্যূনতম রফতানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করেছিল। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রধান সবজির সরবরাহ বাড়াতে গত বছরের আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হবে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের চাহিদা পূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ন্যূনতম দর বেঁধে দেয়া এবং সরাসরি নিষেধাজ্ঞাসহ প্রায় পাঁচ মাসের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমও পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ডিজিএফটি পেঁয়াজের জন্য ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) প্রতি টন ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত সরকার ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখে। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রায় ৫ মাস পর ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ আরো পাঁচটি দেশকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। অপরদিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। ভারত বলছে, সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন